বোঝাতে চেয়েছিলেন, দাপটের সঙ্গে নির্বাচনে জিতবে বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তা করতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধিয়ে বসলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের বড় ছেলে। ‘লাল ঝড়’-এর পূর্বাভাস দিয়ে বিশ্বের যে মানচিত্র প্রকাশ করলেন, তাতে ভারতকে নীলে দেখালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অংশকে আবার লাল দিয়ে চিহ্নিত করলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল : লাইভ আপডেটস
আপাতত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গণনা-পর্ব চলছে। তার আগে মঙ্গলবার টুইটারে নিজের পূর্বাভাস দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রের একটি ছবি পোস্ট করেন ট্রাম্প জুনিয়র। তাতে অধিকাংশ বিশ্ব লাল ছিল। যা রিপালবিকান তথা তাঁর বাবার দলের রং। ভারতে অবশ্য নীল রং ছিল। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরকে লাল রঙে রাখা হয়েছে। তা ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিচ্ছিন্নতা’-কে ইঙ্গিত করেছে। একইসঙ্গে ট্রাম্প জুনিয়রের ‘লাল ঝড়’-এ ঠাঁই পেয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতও। সেখানেও ভারতের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের ‘বিচ্ছিন্নতা’-কে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ভারতকে কেন নীল রঙে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। তার জেরে প্রবাসী ভারতীয়দের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামবে বলে কি আশঙ্কায় আছে ট্রাম্প শিবিরের? সেজন্যই কি ডেমোক্রেটিকের রঙে ভারতকে রাখা হয়েছে? যে রঙে ভারতের সঙ্গে আছে শ্রীলঙ্কা, চিন, লাইবেরিয়া এবং মেক্সিকো। পাকিস্তান, মায়ানমার, ভুটান এবং বাংলাদেশে আবার ‘লাল ঝড়’ উঠেছে।
সেই মানচিত্র নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘ট্রাম্প সিনিয়রের বন্ধুত্বের এই দাম মিলল। জুনিয়র ভারতকে জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে রেখেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে জুনিয়র মনে করেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব বাকি ভারতের উলটো পথে হাঁটবে এবং ট্রাম্পকে ভোট দেবে। কেউ যেন তাঁর রঙের পেনসিল নিয়ে নেয়।’
জুনিয়র ট্রাম্পের সেই বিতর্কিত টুইটের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, ‘নমোর ব্রোম্যান্সের মূল্য : কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বকে বাকি ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পুরো নোংরা (ট্রাম্প বলেছিলেন ভারত নোংরা) জায়গাকে চিন ও মেক্সিকোর মতো শত্রুদের রাজ্যে রেখেছেন ডন জুনিয়র। চটকদার জাঁকজমকপূর্ণ স্টেডিয়াম অনুষ্ঠানের (নমস্তে ট্রাম্প) জন্য কত কোটি খরচ হয়ে গেল।’