লাদাখের ঘটনার পর চিন–ভারত সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আবার চিন কৌশলে ভারতকে জব্দ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভাব জমাতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত–বাংলাদেশের সম্পর্ক ভাল। তাই এবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও উন্নতির ক্ষেত্রে আমেরিকা সহায়তা করবে বলে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। আমেরিকার ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট স্টিফেন বেইগান ভারত সরকারকে জানিয়েছেন, বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
স্টিফেন বেইগান একজন উচ্চপর্যায়ের মার্কিন আধিকারিক। তিনি প্রথম এক দশক পর ঢাকায় আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তিনি ভারতের বিদেশসচিব হর্ষ শ্রিংলার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কোয়াড নিরাপত্তাকে আরও মজবুত কি করে করা যায় তার ইনপুট খুঁজতে বলেছেন। এছাড়া বাণিজ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বিনিয়োগ, কোভিড–১৯ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের বিদেশ সচিবও মার্কিন সচিবকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে বলেছেন। আর্থিকভাবে এই দেশ উন্নতি করছে বলে জানান শ্রিংলা।
মার্কিন বিদেশসচিবকে বাংলাদেশে আসার জন্য উৎসাহও দিয়েছেন শ্রিংলা। এর আগে জন কেরি, হিলারি ক্লিনটন আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও বাংলাদেশে আসেননি। এমনকী বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের বিদেশ সচিব।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর চিন এখন বাংলাদেশকে অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করছে। ২০১৮ সালে মনোহর পারিক্কর যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। তাই চিন চেষ্টা করলেও ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক অটুট থাকবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।