ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ইতিহাস অস্বীকার না করেও এই নিয়ে অস্বস্তিতে আছে আমেরিকা। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম থেকেই ভারতকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করেও সফল হয়নি আমেরিকা। ভারত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করলেও ‘বন্ধু’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এরই মাঝে ভারত আবার রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই আবহে আজকে ভারতে পা রাখবেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এর আগে বৃহস্পতিবারই মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন ফোন করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিষয়টি উঠে আসে দুই দেশের নেতার আলোচনায়। জানা গিয়েছে, দুই নেতার ফোনালাপের সময় ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্লিনকেনে। যুদ্ধের আবহে সেদেশের মানবিক বিপর্যয় নিয়ে কথা হয় দুই নেতার। তবে রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এই দুই নেতার কোনও কথা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে অবশ্য, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতকে ‘সতর্ক বার্তা’ পাঠাল আমেরিকা। ব্লিনকেনের দফতরের বক্তব্য, ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়ায় তাহলে ভারত ‘বড় ঝুঁকির’ সম্মুখীন হবে। যদিও এই ঝুঁকির ‘প্রকৃতি’ সম্পর্কে কোনও বাক্যব্যয় করেনি মার্কিন কর্তারা। তবে রাশিয়া ইস্যুতে ভারতকে পাশে না পেলেও চিনের বিপক্ষে যে ভারতকে আমেরিকা পাশে চায়, তা স্পষ্ট। তাই নরমে গরমে ভারতকে নিজেদের দলেই রাখতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে রুশ বিদেশমন্ত্রীর সফর নিয়ে ভারতের প্রতি নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক একটা খবর। এখন সময় হল ইতিহাসের সঠিক দিকে থাকা। আমেরিকাসহ আরও যেসব দেশ ইউক্রেনের স্বাধীনতার কথা বলছে, তাদের পাশে থাকা উচিত। ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের জন্য তহবিল জোগান দেওয়ার সময় এটা না।’