সম্প্রতি বিতর্ক উসকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমেরিকা গ্রিনল্যান্ডকে কিনে নেবে'। এই নিয়ে বিস্তর চর্চা এবং বিতর্ক হয়েছিল। এরই মাঝে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মুখ খুললেন। সাফ জানিয়ে দিলেন, গ্রিনল্যান্ড কখনও মার্কিন দখলে আসবে না। তিনি বলেন, 'গ্রিনল্যান্ডকে নিয়ে যে পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এসেছে, সেটি মোটেও ভালো নয়। এটা নিশ্চিত ভাবেই বাস্তবায়িত হবে না। তাই এই নিয়ে বেশি কথা বলে সময় নষ্ট না করাই ভালো।' (আরও পড়ুন: মণিপুরে কি সত্যিই স্টারলিঙ্কের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল? তদন্ত শুরু কেন্দ্রের)
এর আগে মজা করে কখনও কানাডা দখল করে নেওয়ার 'ইঙ্গিত', কখনও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প। আবার কখনও পানামা খাল পুনর্দখলের বার্তাও দিয়েছেন এই রিপাবলিকাননেতা। প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের এহেন একের পর এক বার্তায় চর্চা শুরু হয়েছে। এরই মাঝে অবশ্য গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে বলেছিলেন, 'গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্যে নয়'। তবে মার্কিন নিরাপত্তার জন্যে যে গ্রিনল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ, তা মেনে নিয়েছিলেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েই তিনি কানাডার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছেন। জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা করার সময় মজার ছলে আবার তাঁকে 'গভর্নর' বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা করলে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'কানাডার অনেকেই আমেরিকার ৫১তম প্রদেশ হতে ইচ্ছুক।' এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকাকে পানামা খাল 'ফিরিয়ে' দিতে বলব আমি। উল্লেখ্য, এই পানামা খাল তৈরি করেছিল আমেরিকা। তবে প্রেসিডেন্ট কার্টারের চুক্তি অনুযায়ী, সেই খালটি পানামার হয়ে যায় ১৯৯৯ সালে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্টের অভিযোগ, সম্প্রতি পানামা খাল দিয়ে মার্কিন জাহাজের যাতায়তে অনেক বেশি চার্জ করা হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি আবার কানাডাকে মার্কিন সামরিক সহায়তা ও বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। এই আবহে কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম প্রদেশে পরিণত করার চাপ দিতে 'অর্থনৈতিক শক্তি' ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। গ্রিনল্যান্ড, পানামা খাল, কানাডা ছাড়াও ট্রাম্পের নিশানায় আছে আরেক মার্কিন প্রতিবেশী মেক্সিকো। এর আগে এর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসে প্রথম যে নির্দেশগুলি তিনি দেবেন, তার মধ্যে অন্যতম হল মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারি আমদানি শুল্ক চাপানো হবে।