আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাবে আমেরিকা। জানালেন মার্কিন সেনা কর্তা।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা দেশে ফিরে যাবে। কিন্তু তার আগে আফগান বাহিনীর সমর্থনে এবং তালিবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাবে আমেরিকা। এক সর্বোচ্চ সেনা কর্তা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহগুলিতেও বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে অগস্টের পরও বিমান হামলা হবে কিনা, তা তিনি জানাননি।
আমেরিকা ও ন্যাটোর বাহিনী যখন আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তখন তালিবান একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না আফগান সেনা। সম্প্রতি তালিবান আরো সক্রিয় হয়েছে। তারা গ্রামের দিকের এলাকা দখল করে এবার আঞ্চলিক রাজধানীগুলি ঘিরে ফেলেছে।
আমেরিকা কী বলছে?
কাবুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি একটি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। সেটা হল, ৩১ অগস্টের পরেও কি অ্যামেরিকা এই বিমান হামলা চালাবে? তিনি শুধু বলেছেন, 'অ্যামেরিকা আফগান সেনাকে সমর্থন জানিয়ে যাবে। সেই সমর্থন সাধারণভাবে আকাশপথেই হবে।'
ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, 'গত কয়েকদিন ধরে তালিবানের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিমান হামলা চলছে। যদি তালিবান আক্রমণ চালিয়ে যায় তাহলে আগামী সপ্তাহগুলিতে তা আরও বাড়ানোর জন্য আমরা প্রস্তুত।' ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, 'আগামী দিন ও সপ্তাহগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' তাঁর মতে, 'আমি মনে করি না, এটা একটা সহজ রাস্তা। কিন্তু আমি এটাও মনে করি না যে, আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ হবে।'
আফগানিস্তানের অবস্থা
রবিবারও কান্দাহারের পাশে লড়াই হয়েছে। গত মাসে সেখান থেকে ২২ হাজার পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে গিয়েছেন। কান্দাহারে ছয় লাখ ৫০ হাজার মানুষ থাকেন। এটা আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সব চেয়ে বড় শহর। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এই শহর ছিল তালিবানের ক্ষমতার মূল কেন্দ্র। ম্যাকেঞ্জি স্বীকার করে নিয়েছেন, কান্দাহারে মার্কিন বিমান হানা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, তালিবান সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। তবে তালিবান নেতারা তা স্বীকার করেনি। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, যেভাবে সাধারণ মানুষকে আটক করা হচ্ছে, মারা হচ্ছে, তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষ তাই ঘর ছাড়ছেন বলেও জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংগঠন।