৪১টি দেশের ওপর ব্যাপক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা বিবেচনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রস্তাবিত নীতিতে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং মায়ানমারের মতো ভারতের প্রতিবেশি দেশগুলির উপর বড় প্রভাব পড়তে পারে। এদিকে ভুটানের নামও নাকি আছে এই তালিকায়। গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের জারি করা নির্বাহী আদেশে বিদেশি নাগরিকদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা তল্লাশি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নির্দেশিকার আবহে বেশ কয়েকজন ক্যাবিনেট কর্মকর্তাকে ২১ মার্চের মধ্যে এমন দেশের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল, যেখানে স্ক্রিনিং পদ্ধতি অপর্যাপ্ত। সেই সব দেশের নাগরিকদের ওপর আংশিক বা পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। (আরও পড়ুন: বরোদায় মহিলাকে পিষে 'নিকিতা' বলে চেঁচায় সেই চালক, কে এই 'নিকিতা'?)
আরও পড়ুন: মেধাবী ভারতীয় ডক্টরেট ছাত্রীর ভিসা বাতিল USA-র, কে এই রঞ্জনি শ্রীনিবাসন?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। যদিও তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত নয়। এতে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওর সম্মতির পাশাপাশি প্রশাসনের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। অবশ্য রিপোর্ট অনুযায়ী, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে এমন দেশগুলির সেই খসড়া তালিকা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত। নীচে সেগুলি দেওয়া হল:
গ্রুপ ১ (১০টি দেশ): এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ। এসব দেশের নাগরিকদের জন্য মার্কিন ভিসা ইস্যু সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হতে পারে।
গ্রুপ ২ (৫টি দেশ): ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদানের মতো দেশ রয়েছে। এই দেশগুলির জন্য আংশিক বিধিনিষেধের প্রস্তাব করা হয়েছে, পর্যটক, শিক্ষার্থী এবং কিছু অভিবাসী ভিসা সীমাবদ্ধ করা হতে পারে।
গ্রুপ ৩ (২৬টি দেশ): এর মধ্যে রয়েছে বেলারুশ, পাকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মতো দেশ। যদি এই দেশগুলির সরকার আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সুরক্ষা ত্রুটি ঠিক না করে, তাহলে তারা আংশিক ভিসা বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বালোচিস্তানের নেই ঠিক, 'কাশ্মীর বুলি' পাকিস্তানের গলায়, জোর 'ধমক' ভারতের
এই প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়তে পারে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশেষ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। সূত্রের খবর, এর জেরে আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থী এবং বিশেষ অভিবাসী ভিসা (এসআইভি) ধারকদের উপরও বড় প্রভাব পড়তে পারে। তবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই এসআইভি হোল্ডারদের নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তবে ২০২১ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছিলেন বাইডেন।