সোশ্যাল মাধ্যমে প্রেম। তারপরে প্রেমের টানে গত বছর সুদূর আমেরিকা থেকে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণকে বিয়ে করতে পাকিস্তানে এসেছিলেন ৩৩ বছর বয়সি এক মহিলা। কিন্তু, আইনি জটিলতার কারণে পাকিস্তানে আটকে পড়েছিলেন তিনি। পাক সরকারের কাছে নাগরিকত্ব এবং ১ লক্ষ ডলার দাবি করেছিলেন। অবশেষে দেশে ফিরছেন মার্কিন নাগরিক মহিলা ওনিজা অ্যান্ড্রু রবিনসন। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে তিনি করাচিতে আটকে ছিলেন। সেই সময় সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য চাপ প্রেমিকার, নগ্ন ছবি ভাইরাল করল যুবক, আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর
জানা যায়, ১৯ বছর বয়সি পাকিস্তানি তরুণ নিদাল আহমেদ মেমনকে বিয়ে করতে তিনি করাচিতে যান। তবে নিউ ইয়র্ক থেকে করাচি পর্যন্ত তাঁর দীর্ঘ যাত্রা শেষ হয়েছিল হতাশার মধ্য দিয়ে। যখন তরুণ তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর পরিবার এই সম্পর্ক কখনই মেনে নেবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। মহিলা ট্যুরিস্ট ভিসায় পাকিস্তানে এসেছিলেন। তবে ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি বেশ কয়েকদিন করাচিতে আটকে পড়েছিলেন। এরপর, রবিনসন করাচিতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। এমনকী তিনি তরুণের বাড়ির বাইরেও তাঁবু খাটিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন। কিন্তু, তিনি জানতে পারেন পরিবারের কেউ সেই বাড়িতে ছিলেন না। তালা লাগানো ছিল বাড়িতে।
সেই সময় মহিলার গল্প এতটাই ভাইরাল হয় যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি পাকিস্তানে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। মানবাধিকার সংগঠন ছিপা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে রবিনসন সরকারের কাছে ১ লক্ষ ডলার দাবি করেছিলেন। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, ‘সরকারের উচিত আমাকে ১ লক্ষ ডলার দেওয়া। এই সপ্তাহের মধ্যে আমার নগদ ২০,০০০ ডলার দরকার। এটা সরকারের কাছে আমার দাবি। ’ প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার ডলার করে দাবি করেছিলেন মহিলা।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এনজিওগুলি ফেরার টিকিট এবং আর্থিক সহায়তা করার পরেও রবিনসন দেশ ছেড়ে যেতে অস্বীকারও করেন। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, তরুণকে তিনি অনলাইনে বিয়ে করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মেমনের সঙ্গে বিবাহিত। আমরা খুব শীঘ্রই দুবাই চলে যাচ্ছি। আমাদের বাচ্চা দুবাইয়ে হবে।’
অবশেষে জেরেমিয়া রবিনসন নামে একজন নিজেকে ওই মহিলার ছেলে বলে দাবি করেন। তিনি পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তার মা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানে কয়েক মাস থাকার পর রবিনসন অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছেন।