ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে কোনও সমাধান সূত্র বের করতে সক্ষম হয়নি আমেরিকা। এই আবহে ইউক্রেনে থাকা সকল মার্কিন নাগরিককে সেদেশ ছেড়ে বের হওয়ার পরামর্শ দিল আমেরিকা। খুব শীঘ্রই রাশিয়া ইউক্রেন দখল করতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরামর্শে মার্কিন সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে বলে খবর রয়েছে। সেদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নেই। বিশেষ করে ইউক্রেনের সীমানা বরাবর রাশিয়া-অধিকৃত ক্রাইমিয়াতে এবং রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনে অপ্রত্যাশিত ভাবে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেদেশে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, যা মাঝে মাঝে সহিংস রূপ নিচ্ছে। দেশের রাজধানী কিইয়েভেও নিয়মিতভাবে হিংসার ঘটনা ঘটছে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বৈঠক হয় জেনেভায়। তবে তাতে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই বৈঠকের আগেই অবশ্য আমেরিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে দাবি করেছিল, রাশিয়া যেকোনও সময় ইউক্রেন দখল করতে পারে।
মার্কিন গোয়ান্দাদের আশঙ্কা, ২০১৪ সালের ক্রাইমিয়ার মতোই রাশিয়া আবারও হানা চালাতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমী দেশগুলি ও মস্কোর মধ্যে বহু দফার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ওই এলাকা থেকে এখনও অনড় রাশিয়ান সৈন্যরা। রাশিয়ার দাবি, আমেরিকাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ইউক্রেন কোনওদিন ন্যাটোতে যোগ দেবে না। পাশাপাশি পূর্বতন কোনও সোভিয়েট দেশে ন্যাটো তাদের অস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র বসাতে পারবে না।