বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > পুতিনের সঙ্গে বন্ধুত্বই কি কাল! পাকিস্তানে ইমরানের সরকারের পতনের নেপথ্যে আমেরিকা?

পুতিনের সঙ্গে বন্ধুত্বই কি কাল! পাকিস্তানে ইমরানের সরকারের পতনের নেপথ্যে আমেরিকা?

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (পিটিআই)

আমেরিকার নাম না করে ইমরান কয়েকজন সাংবাদিককে বলেন, 'আমার মস্কো সফর ও বিদেশ নীতি নিয়ে আপত্তি আছে একটি দেশের।'

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের স্থায়িত্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র সংশয়। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইতিমধ্যেই ইমরানের বিরুদ্ধে পেশ হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। সংখ্যার নিরিখে ইমরানের গদি বাঁচানোর কোনও সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না পাক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নিজের দলেরই সদস্যরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন ইমরানের বিরুদ্ধে। সরিকরা ইমরানকে ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন বিরোধীদের দলে। এই আবহে ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন যে ‘বিদেশি শক্তি’ তাঁর সরকারের পতনের জন্য কলকাঠি নাড়ছে। তাঁর ইঙ্গিত ছিল আমেরিকার দিকে। এই আবহে আমেরিকার তরফে এই বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হল।

সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই ইমরান খান মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। ইমরানের অভিযোগ, আমেরিকা তাঁর সেই রাশিয়া সফর মেনে নিতে পারেনি। আর তাই তাঁর সরকারের পতন ঘটতে চাইছে। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমেরিকা জানিয়ে দিল, তাঁদের দেশের কোনও কর্তা বা সংস্থা পাকিস্তানের কাউকে ইমরান প্রসঙ্গে কোনও চিঠি লেখেনি। পাক সংবাদপত্র ‘ডন’-কে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্তা বলেছেন, ‘এই সব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।’

রবিবার ইমরান দাবি করবেন, তাঁর জোট সরকারকে উৎখাত করার ‘ষড়যন্ত্র’ করছে বিদেশি শক্তি। ইসলামাবাদের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘বিদেশি অর্থের মাধ্যমে পাকিস্তানে সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।' তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে তাঁর কাছে এর প্রমাণস্বরূপ একটি চিঠিও আছে। যদিও ইমরানের এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিল আমেরিকা। পরে অবশ্য সেই চিঠি ইমরান খান প্রকাশ করেননি। তবে আমেরিকার নাম না করে তিনি কয়েকজন সাংবাদিককে বলেন, ‘আমার মস্কো সফর ও বিদেশ নীতি নিয়ে আপত্তি আছে একটি দেশের। সেই দেশের তরফে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে চিঠি লেখা হয়েছিল।’ ইমরান খান জানান, সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের তরফে এই চিঠিটি কেবল করা হয় অনাস্থা প্রস্তাব পেশের পরদিন।

 

বন্ধ করুন