এবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং আইসিএমআর–কে নোটিশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। গঙ্গা জল পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েই এই নোটিশ ধরানো হয়েছে। এক জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে, গঙ্গা জলে ব্যাকটেরিওফেগস নামে এক ধরনের জীবাণু রয়েছে। যা অন্যান্য ভয়াবহ জীবাণুকে খতম করতে সক্ষম। এমনকী তা দিয়ে কোভিড–১৯ সংক্রমণের মোকাবিলা করা সম্ভব। এই দাবির পরই গঙ্গা জল পরীক্ষার জন্য নোটিশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
ওই জনস্বার্থ মামলার আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, ব্রিটিশ জীবাণু বিশেষজ্ঞ আরনেস্ট হকিংস ১৮৯৬ সালে গঙ্গা জলে ব্যাকটেরিওফেগস জীবণুর সন্ধান পেয়েছিলেন। এই জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া গঙ্গা জলের শুদ্ধতা এবং মানকে নষ্ট করে না। বরং প্যাথোজেন্স এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন অরুণ কুমার গুপ্তা। তিনি আইনজীবী হলেও গঙ্গা জল নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছেন। এই মামলাটির শুনানিতে ছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এমএন ভাণ্ডারি এবং বিচারপতি রাজেন্দ্র কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
করোনাভাইরাসে মৃতদের দেহ গঙ্গায় বাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ উঠেছিল স্বয়ং যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে। তাতে গঙ্গা জলের মান এবং শুদ্ধতা নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে এমন দাবি নিঃসন্দেহে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। তাঁর গবেষণাপত্র ইতিমধ্যেই ই–মেল মারফত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী আয়ুষ মন্ত্রককেও পাঠানো হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই বিষয়টি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার নোটিশ জারি করেছে আদালত।