ডিম স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী। তবে ডিম খেতে ভালোবাসলে, বেশ কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা ভালো। না-হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডিম একটি পূর্ণ আহার। দুধ অথবা মাংসের মতো ডিম থেকেও অধিক পরিমাণে প্রোটিন লাভ করা যায়। এমনকি খনিজ ও ফ্যাটও পাওয়া যায়। ডিমের মধ্যে ২ ভাগ খোল, ৫৮ ভাগ সাদা অংশ বা এগহোয়াইট ও শেষে কুসুম থাকে। খোলে ক্যালশিয়াম কার্বোনেট থাকে, এগহোয়াইটে জল ও প্রোটিন-সহ স্নেহপদার্থও থাকে।
ডিম খেতে হলে, তা ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া উচিত। ফলে এটি সহজে হজম করা যেতে পারে। একটি কাঁচা ডিমে ৫১ শতাংশ প্রোটিন থাকে, কিন্তু রান্না করা ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯১ শতাংশ। রান্নার সময় তাপমাত্রার কারণে এর প্রোটিনে নানান পরিবর্তন দেখা যায়।
অনেকেই কাঁচা ডিম পান করেন। তবে এমনটি করা উচিত নয়। কাঁচা ডিমের মধ্যে পৃথক পৃথক অংশে প্রোটিন থাকে এবং গঠনের কারণে এগুলি এক সঙ্গে মিশতে পারে না। কিন্তু ডিম রান্নার সময় সেই দেওয়াল ভেঙে যায় এবং সমস্ত প্রোটিন এক সঙ্গে মিশে যায়। এই প্রোটিন সহজপাচ্য।
আবার অত্যধিক সময় ধরে ডিম সেদ্ধ করাও অনুচিত। কারণ অধিক সময় ধরে সেদ্ধ করার ফলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। একটি পরীক্ষা অনুযায়ী, অত্যধিক সময় ধরে ডিম রান্নার ফলে এর ভিটামিন-এ প্রায় ১৭ থেকে ২০ শতাংশ কমে যায়। আবার মাইক্রোওয়েভে রান্না, সেদ্ধ ও ফ্রাই করার ফলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ৬ থেকে ১৮ শতাংশ কমে যায়।
ডিমের কুসুমে অত্যধিক মাত্রায় কোলেস্ট্রল থাকে। একটি বড় ডিমে প্রায় ২১২ গ্রাম কোলেস্ট্রল থাকে। অত্যধিক তাপমাত্রায় ডিম রান্না করলে নানান ক্রিয়ার ফলে কোলেস্ট্রল অক্সিস্টেরলে পরিবর্তিত হয়। উল্লেখ্য, অক্সিস্টেরল হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।