গত ৪ বছর বাইডেন আমলে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। এবার তিনি ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন। তবে ট্রাম্পের কাছে তিনি হেরে যান। এদিকে ট্রাম্পের জয়ের কারণে 'কমলার বাড়িতে' প্রবেশ করবেন অপর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি হলেন ঊষা ভান্স। আমেরিকার হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের স্ত্রী। এই আবহে ঊষার পিসি-ঠাম্মা প্রফেসর সি সন্থাম্মা আশীর্বাদ করলেন জেডি এবং ঊষাকে। ৯৬ বছর বয়সি সন্থাম্মা অন্ধ্রপ্রদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। এখনও তিনি ফিজিক্স পড়িয়ে চলেছেন পড়ুয়াদের। এহেন সন্থাম্মা বললেন, 'আমি তোমাদের দু'জনকেই শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তোমরা দুর্দান্ত পদে আসীন হতে চলেছে। ঈশ্বর তোমাদের এবং তোমার-আমার দেশকে ভালো রাখুন।' উল্লেখ্য, সন্থাম্মার স্বামী, প্রফেসর সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর দাদা রামা শাস্ত্রীর নাতনি হলেন ঊষা। সন্থম্মার স্বামী এক সময় আরএসএস করতেন। এই আবহে ইমারজেন্সির সময় তিনি ২ বছর জেলও খেটেছিলেন। সন্থাম্মা নিজে এখন বিশাখাপত্তনমে থাকেন। তিনি নিজের বাড়িটি দান করেন হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্যে। (আরও পড়ুন: কয়েক ঘণ্টায় ফের টিকটক চালু আমেরিকায়, ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাল চিনা প্ল্যাটফর্ম)
আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কত কাছে… প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার আগে বড় দাবি ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: মারা গেলেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতি, বিস্ফোরণে শ্বাসনালী সহ পুড়েছিল দেহের ৭৪%
উল্লেখ্য, আজ থেকেই '১ নং, অবজারভেটরি সার্কেলের' বাসিন্দা হবেন ট্রাম্পের 'রানিং মেট' জেডি ভান্স আর তাঁর স্ত্রী ঊষা ভান্স। এই আবহে সেই বাড়ি থেকে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদায় নিলেও সেখানে আসবেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন জেডি ভান্সকে। এদিকে নিজের রাজনৈতিক উত্থানের নেপথ্যে তাঁর স্ত্রীর অবদান প্রথম থেকেই স্বীকার করে এসেছেন জেডি ভান্স। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মেডিক্যাল প্রবেশিকায় প্রথম সুশোভন, ফল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ঢাকায়)
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিয়েই ২০০ অর্ডারে সই, সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রসঙ্গত, ঊষা চিলুকুড়ি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি করেছেন। ঊষা চিলুকুড়ি ভান্স ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও প্রযুক্তি জার্নালের ম্য়ানেজিং এডিটর এবং ইয়েল ল জার্নালের এক্সিকিউটিভ ডেভলপমেন্ট এডিটর হিসাবে কাজ করেছেন। এদিকে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর করেন। ২০১৪ সালে কেন্টাকিতে জেডির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ঊষার। এদিকে শুরুতে ২০১৪ পর্যন্ত ঊষা রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাট ছিলেন। পরে ২০২২ সালে তিনি রেজিস্টার্ড রিপাবলিকান হন। এদিকে স্ত্রীর হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন বলে মনে করেন জেডি ভান্স। দীর্ঘদিন আইনি বিভাগে কাজ করেছেন ঊষা। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জন রবার্টস এবং বিচারপতি ব্রেট কেভানার অধীনেও কাজ করেছেন ঊষা। (আরও পড়ুন: ৪৭১ দিন পর হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেলেন ৩, ইজরায়েল ছাড়ল ৬৯ নারী ও ২১ কিশোরকে)
অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত ঊষার আদি গ্রামের নাম ভাদলুরু। জানা যায়, ঊষা ভ্যান্সের বাবা চিলুকুড়ি রাধাকৃষ্ণান চেন্নাইতেই বড় হয়েছিলেন, পরে তিনি আমেরিকায় চলে যান পড়াশোনার জন্য। যদিও পরবর্তীকালে ঊষা ভান্স কখনওই ভারতের সেই গ্রামে যাননি, তবে তাঁর বাবা কয়েক বছর আগে একবার গিয়েছিলেন সেখানে।