চুল ঠিক করার জন্য আপনার জেসিবি ব্যবহার করা উচিত। আর তার চুল সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গান গাওয়া এটা কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার( প্রিভেনশন, প্রহিবিশন, রিড্রেসাল রুলস ২০১৩) এর মধ্য়ে পড়ে না। আসলে HDFC ব্যাঙ্কের এক কর্মীর বিরুদ্ধে PoSH মামলা হয়েছিল তা খারিজ করার সময় একথা জানিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।
একক বিচারপতি সন্দীপ মারনে জানিয়েছেন,এটা বলা খুব শক্ত যে তিনি যৌন হেনস্থা করেছেন।
গত ১৮ মার্চ বিচারপতি ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে লেখা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রথম ঘটনা নিয়ে যেটা দেখা যাচ্ছে যে আবেদনকারী অভিযোগকারিনীর চুলের দৈর্ঘ্য ও কতটা পরিমাণে তার উপর ভিত্তি করে একটা মন্তব্য করেছিলেন। তার চুল সম্পর্কিত একটি গান গেয়েছিলেন। আবেদনকারী যে মন্তব্য করেছিলেন তা অভিযোগকারিনীর যৌন হেনস্থার সমতূল্য এটা বিশ্বাস করাটা কঠিন। আর যখন মন্তব্যটা করা হয়েছিল তখন তিনি( ওই মহিলা সহকর্মী) এটাকে যৌন হেনস্থার সমতুল্য বলে উল্লেখ করেননি।
এদিকে আবেদনকারীর দাবি ২০২২ সালের ১১ জুন একটা ট্রেনিং সেশন হয়েছিল। তিনি বার বার দেখছিলেন যে অভিযোগকারিনী তাঁর চুল ঠিক করছেন। তাঁর দীর্ঘ কেশ নিয়ে তিনি হয়তো কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। এরপর কিছুটা হালকা চালে তিনি বলেছিলেন আপনি চুল ঠিক করার জন্য় জেসিবি ব্যবহার করুন। এরপর তিনি একটি গান গান। গানটি হল, ‘ইয়ে রেশমি জুলফে…’।
ওই আবেদনকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য করার একটা উদ্দেশ্য় ছিল যে যদি চুল নিয়ে তাঁর অস্বস্তি হয় তবে তিনি যেন সেটা বেঁধে রাখেন। কারণ এর জেরে তিনি শুধু ওই আবেদনকারীর নয়, আরও অনেকের মনোযোগ নষ্ট করছিলেন। এমনকী ট্রেনিং সেশনের আগে ওই ব্যক্তি বলেই রেখেছিলেন যে তিনি আবহাওয়াটা কিছুটা হালকা করার জন্য় কিছু জোকস ব্যবহার করবেন।
বিচারপতি মারনে একাধিক হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ দেখেছেন আবেদনকারী ও অভিযোগকারিনীর মধ্য়ে। ১১ জুন ২০২২ সালের পর থেকে। আবেদনকারী নানাভাবে পারফর্ম্যান্স ভালো করার জন্য উৎসাহ দিতেন আর তাতে বেশ কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করতেন অভিযোগকারিনী।
এদিকে ২৫শে জুন ২০২২ সালের একটি সেশনে একজন পুরুষ সহকর্মী ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় আবেদনকারী তাকে বলেন, বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছেন? তাতে তিনি বলেছিলেন বান্ধবী নেই। এতে আবেদনকারী বলেছিলেন কেন তোমার মেশিন কি খারাপ?
এতে ওই অভিযোগকারিনী অস্বস্তি বোধ করেন ও উল্লেখ করেন যে এটাও যৌন হেনস্থা।
তবে বিচারপতি এটাকে ‘যৌন হেনস্থা’ বলে মান্যতা দেননি।