ইউক্রেন নিয়ে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে। এই আবহে আমেরিকা সতর্ক করে দিয়ে দাবি করল যে রাশিয়া যেকোনও সময় ইউক্রেন দখল করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে জেনেভায় আমেরিকা ও রাশিয়ার বৈঠকের ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। উল্লেখ্য, আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বৈঠক হওয়ার কথা চলতি সপ্তাহেই। এই আবহে আজ ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট। দুই নেতার মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে জেনেভার বৈঠকের উপর ইউক্রেনের পরিস্থিতির কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে ওয়াশিংটন, মস্কো উভয় তরফেই। যদিও ইউক্রেন প্রসঙ্গে আমেরিকা রাশিয়ার ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। এই বিষয়ে গতকাল হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন পাস্কি দাবি করেন, রাশিয়ার এক লক্ষেরও বেশি সেনা ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছেন। যেকোনও সময় ইউক্রেন সীমান্ত পার করে তারা দেশটি দখল করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন পাস্কি। তিনি বলেন, ‘আমরা যা ভাবছি, তার থেকেও ভয়ঙ্কর ভাবে আঘাত হানতে প্রস্তুত হচ্ছে রাশিয়া।’ পাশাপাশি আমেরিকার সতর্কবাণী, ‘রাশিয়া যদি ইউক্রেন দখল করার ভুল করে, তাহলে এর পরিণাম ভালো হবে না।’
ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকার জেরে পুতিন নিজেই বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন গতবছরের শেষ লগ্নে। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৩০ ডিসেম্বর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে খোলাখুলিভাবে ফোনে কথা বলেন। তবে পরিস্থিতি তাতেও স্বাভাবিক হয়নি। রাশিয়ার দাবি, আমেরিকাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ইউক্রেন কোনওদিন ন্যাটোতে যোগ দেবে না। পাশাপাশি পূর্বতন কোনও সোভিয়েট দেশে ন্যাটো তাদের অস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র বসাতে পারবে না।