শনিবারই উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়। কোভিড আবহে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট বাজিয়েছে কমিশন। স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, আপাতত কোনও রোড শো বা বাইক মিছিল করা যাবে না। অনলাইনে ভোট প্রচারের ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। আর এরপরই এই নিয়ে ‘অন্য সুর’ শোনা গেল সমাজবাদী পার্টি প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের গলায়। যেখানে করোনা আবহে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রচারের উপর বেশি জোর দিচ্ছে, সেখানে অখিলেশের বক্তব্য, ভার্চুয়াল প্রচারের ক্ষেত্রে বিজেপির মতো বড় দলের পরিকাঠামোকে টেক্কা দেওয়া যাবে না।
অখিলেশকে গতকাল প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভার্চুয়াল প্রচারের জন্য কতটা প্রস্তুত সমাজবাদী পার্টি? আর এর জবাবে অখিলেশ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের উচিত রাজনৈতিক দলগুলিকে কিছু তহবিল দেওয়া যাতে তারা (রাজনৈতিক দলগুলি) এই সংক্রান্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে পারে কারণ আমরা বিজেপির পরিকাঠামোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব না। তাই আমরা আবেদন করছি যে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলিকে সরকারের কাছ থেকে কিছু তহবিল পেতে সাহায্য করে। যাতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের বিজেপির মতো শক্তিশালী সেট আপ নেই তারাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হয়।’
এর আগে করোনা নিয়ম পালন করে প্রচারের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার বার্তা দিয়েছিল নির্বাচনের কমিশন। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করার জন্য প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলকে ‘পরামর্শ’ দেয় কমিশন। কমিশন জানিয়ে দেয়, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও রোড শো, পদ যাত্রা, বাইক ব়্যালি করা যাবে না ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে। নিয়ম ভাঙলে বিপর্যয় মোকালিবা আইনের অধীনে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মুখ্য নির্বাচক কমিশনার। এই আবহে সমাজবাদী পার্টির প্রশ্ন, ছোট দলগুলি ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রচার চালানোর জন্য এত টাকা বা পরিকাঠানো কোথায় পাবে? তবে ভার্চুয়াল প্রচার নিয়ে সন্দিহান থাকলেও করোনা আবহে অখিলেশদের কাছে আর কোনও উপায়ও নেই।