প্রায় ২০০ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করার পর রবিবার শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল অখিলেশযাদব ঘনিষ্ঠ পারফিউম ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনকে। আয়কর হানার প্রথম দিনই প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে জৈনির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৮৭ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। এরপর তাঁর বাড়ি ও কারখানা থেকেও আরও ১০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়। এত নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ায় চোখ কপালে ওঠে আয়কর ও জিএসটি আধিকারকিদের।
জানা যায়, আযকর হানা শুরু হতেই ‘পালিয়েছিলেন’ জৈন। তারপর অবশ্য আয়কর আধিকারিকদের পরপর ফোনের পর দুই ঘণ্টায় বাড়িতে ফেরেন জৈন। এত নগদ উদ্ধার হতে দেখে পীযূষকে আধিকারিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এত টাকা এল কোথা থেকে?’ জবাবে পীযূষ জৈন বলেন, ‘বাড়িতে ৪০০ কেজি সোনা ছিল। পৈতৃক সম্পত্তি ছিল সেই সোনা। সেই সোনা বিক্রি করে এত টাকা পেয়েছি।’ একথা শুনে অফিসাররা হেসে উলটে যান বলে জানা গিয়েছে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের দল গত সপ্তাহে অভিযান চালায় অখিলেশ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী পীযূষের বাড়িতে। সম্প্রতি পীযূষ জৈন 'সমাজবাদী পারফিউম' নামক এক সুগন্ধী এনেছিলেন বাজারে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে করফাঁকির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। আর সেই অভিযানে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেন আয়কর আধিকারিকরা। আর এরপরই রবিবার করফাঁকির দায়ে গ্রেফতার করা হয় পীযূষ জৈনকে।
জৈনের বাড়ি ছাড়াও তাঁর কারখানা, দফতর, কোল্ডস্টোর, পেট্রোল পাম্পে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কানপুর ছাড়াও মুম্বইতে পীযূষ জৈনের বাসভবনে ব্যাপক তল্লাশি চলে। সূত্রের খবর পীযূষ জৈনের নামে ৪০টি সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে ২টি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে। তদন্তকারী দল সূত্রের খবর ভুয়ো সংস্থার নাম দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ী প্রচুর টাকার করফাঁকি দিতেন। তাছাড়া জাল বিল দিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ আসে৷ সেই সংক্রান্তও কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর৷