দেশে মন্দির মসজিদ বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। সেই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্যে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, কোনও বিতর্কিত কাঠামোকে মসজিদ বলা উচিত নয়। এই ধরনের কাঠামোকে মসজিদ বলা বন্ধ করে দিলেই মানুষ সেখানেও যাওয়া বন্ধ করে দেবে। মহাকুম্ভ মেলা শুরুর আগে একটি বেসরকারি টিভি চ্যালেনের অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৪৭ বছর আগে দাঙ্গার আগুন জ্বলেছিল সম্ভলে, নতুন করে সেই রিপোর্ট চাইল যোগী সরকার!
তিনি বলেছেন, কারও বিশ্বাসে আঘাত করা এবং সেখানে মসজিদের মতো কাঠামো তৈরি করা ইসলামের নীতির পরিপন্থী এবং এমন জায়গায় যে কোনও ধরণের উপাসনা ঈশ্বরের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। যোগীর মতে, ঈশ্বর যখন এই ধরনের প্রার্থনাকে অনুমোদন করেন না। তাহলে মানুষ কেন সেখানে বৃথা পুজো করবে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেছেন, ‘ইসলামে উপাসনার জন্য কোনও কাঠামো তৈরি করার প্রয়োজন নেই। তবে সনাতন ধর্মের ক্ষেত্রে প্রয়োজন।
এপ্রসঙ্গে আরও ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, সনাতনীরা পুজোর জন্য মন্দিরে যাবে এটাই নিয়ম। কিন্তু, ইসলামে তা নেই। তাই কোনও কাঠামোকে মসজিদ বলার জন্য আমাদের জেদ করা উচিত নয়। নতুন ভারতের কথা চিন্তা করে এগিয়ে যাওয়ার এটাই সময়। আমাদের এই দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
এদিকে, কুম্ভমেলা প্রসঙ্গে যোগী জানিয়েছেন, সব জায়গার সাধু ও ভক্তরা এখানে উপস্থিত থাকবেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রয়াগরাজের ত্রিবেণীতে পুণ্যস্নান করবেন। অন্যদিকে, বিরোধীরা আক্রমণ করেছে যে বিজেপি মহাকুম্ভের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে যোগী বলেন, ‘আমরা কখনই বলিনি যে বিজেপি মহাকুম্ভের সংগঠনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছে।’ এপ্রসঙ্গে পূর্বের সরকারের সমালোচনা করেন যোগী। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে মরিশাসের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী যখন গঙ্গায় পবিত্র স্নান করতে ভারতে এসেছিলেন, তখন তিনি কুম্ভের সময় দূষণ, নোংরা এবং অব্যবস্থা দেখে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে এখন আর সেটা নেই।’ তিনি উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে মহাকুম্ভ মেলা সুশাসন, বিশ্বাস এবং আধুনিকতার একটি বিশাল সমাবেশ হিসাবে পরিচিত হবে।
এছাড়াও, মহাকুম্ভে দূষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যোগী। তিনি জানান, তিনি সেখানে বহুবার গিয়েছেন। সঙ্গমের স্থানে গিয়ে জলে স্নান করে চুমুক দিয়েছেন। কিন্তু, স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয়নি। তিনি জানান, বর্তমানে, শুধুমাত্র গঙ্গা এবং যমুনায় ১০,৩০০ কিউসেক জল রয়েছে। স্বাধীন ভারতে সঙ্গমে এত পরিমাণ জল আর কখনও দেখা যায়নি। তিনি দাবি করেছেন, এই জল এতটাই পরিষ্কার যে বিনা দ্বিধায় তাতে স্থান করতে পারবে এবং পান করতে পারবে।