ভোট আগে করোনা পরিস্থিতিতে বিনা মূল্যে রেশন দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে অনেকেরই রেশন কার্ড বাতিল হচ্ছে। এই রেশন কার্ড বাতিল হওয়া নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। একইসঙ্গে বিজেপির ভিতরেও এর বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠা শুরু হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, যারা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় রেশন পাওয়ার যোগ্য নন, অথচ রেশন পেয়েছেন, তাঁদের রেশন কার্ড ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। শুধু তাই নয়, যারা রেশন পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে রেশনের মূল্য নিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সরকারের এই নির্দেশিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে জানান, ‘যারা রেশন পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে গম, ৩২ টাকা কেজি দরে আলুর দাম উসুল করে নেওয়া হবে। ভোজ্য তেল, নুন, ডালের দামও তাঁদের কাছ নিয়ে নেওয়া হবে। গরিব মানুষেরা টাকা দিতে না পারলে, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
শুধু বিরোধীরাই নয়, এই একই ইস্যুতে সরব হয়েছে বিজেপি সাংসদ বরুন গান্ধীও। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সরকারের নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, খাদ্য সুরক্ষা আইনে বাড়িতে মোটর বাইক, পাকা বাড়ির মতো বেশ কিছু শর্ত রয়েছে, যা থাকলে কম দামে রেশন মেলার কথা নয়। সেই শর্ত লঙ্ঘন করে করোনার সময়ে অনেকেই বিনামূল্যে রেশন নিয়েছেন। এখন তাঁদের রেশন কার্ড ফেরত দিতে বলা হচ্ছে।’ তাঁর অভিযোগ, সরকারের নির্বাচনে আগে তাঁদের রেশন পাওয়া যোগ্য মনে হল, আর এখন অযোগ্য মনে হচ্ছে। আসলে এই সব করে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাই নষ্ট হয়। আবার কি সরকারের নির্বাচনের আগে তাঁদের কথা মনে পড়বে?