দিওয়ালির দিন এবং তার আগে অনেকেই রাস্তায় রাস্তায় পসরা সাজিয়ে বসেন। আলোর উৎসবে ব্যবসা করে নিজের ঘর আলোকিত করার আশায় অনেক কারিগর নিজেদের হাতের তৈরি মাটির প্রদীপ বা অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করেন রাস্তার পাশে। অনেক সময়ই কারও বাড়ির সামনেই বসে সেই দোকান। তা নিয়ে খুব একটা কেউ আপত্তিও জানায় না। দিওয়ালি বলে কথা! সবাই একটু আনন্দ করবে না? তবে নিজের বাড়ির সামনে প্রদীপের দোকান বসুক, চাননি প্রাক্তন আইএএস অফিসারের মেয়ে। আর এই আবহে প্রাক্তন আমলার সেই মেয়ে রাস্তায় লাটি নিয়ে এসে পরপর দোকানে ভাঙচুর চালান। এই কাণ্ডে লাভের আশায় দোকান বসানো ব্যক্তিরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে এই ঘটনায়।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের গোমতি নগর এলাকার পত্রকপুরমে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা নিজের বাড়ির সামনে প্রদীপের দোকান লাগাতে বারণ করেছিলেন। তবে তাঁর বারণ না শুনে দোকানদাররা সেখানেই দোকান দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সেই মহিলা লাঠি নিয়ে এসে ভাঙচুল চালান সেই দোকানগুলিতে। এতে ক্ষতি হয় দোকানদারদের। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি প্রাক্তন আইএএস অফিসার শংকর লালের কন্যা।
এদিকে এই ঘটনায় যে দোকানদারদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবছর এখানেই দিওয়ালির আগে দোকান দিয়ে থাকেন তাঁরা। এই আবহে তাঁরা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার সময় মহিলাকে থামানোর চেষ্টা করেননি স্থানীয় কেউ। ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে এক দোকানদার বলেন, ‘সকালে ম্যাডাম এসে আমাদের দোকান সরিয়ে দিতে বললেন এবং আমাদের জিনিসপত্রে জল ঢেলে দিলেন। পরে তিনি তাণ্ডব চালিয়ে প্রদীপের স্টল ধ্বংস করেন। সব ধ্বংস হয়ে গেল। আমরা তাঁর কাছে কিছু সময় চেয়েছিলাম। আমরা একটি গাড়িতে জিনিসপত্র লোড করে সরে যেতাম। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেনি।’