অবশেষে স্বস্তি পেলেন উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের বাঙালি বাসিন্দারা। দুর্গাপুজো করার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। পার্ক, ময়দান–সহ বিভিন্ন জায়গায় দশভূজার আরাধনা করা যাবে। তবে সব ক্ষেত্রেই কড়াকড়িভাবে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। পুজো উদ্যাপন, অনুষ্ঠান— সব কিছুই ছোট আকারে করার কথা বলা হয়েছে।
লখনউয়ের বেঙ্গলি ক্লাবের সভাপতি অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকার যে দুর্গাপুজোর অনুমতি দিল তাতে আমরা খুব খুশি। অবশেষে অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে। আমরা এবার মণ্ডপে তুলনামূলকভাবে ছোট দুর্গাপ্রতিমা রাখব এবং পাশাপাশি সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা যথাযথভাবে মেনে চলব। আমাদের পুজোর বয়স ১০০ বছরেরও বেশি। শতাব্দী প্রাচীন এই ঐতিহ্য হঠাৎ বন্ধ করা খুবই কঠিন। মারণ করোনাভাইরাসের বিনাশ হোক— এই পুজোয় এটাই আমাদের প্রার্থনা।’
রবীন্দ্র পল্লী পুজো কমিটির সভাপতি মিহির বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের পুজো এবার ৩৭তম বছরে পড়ল। আমরা হয়তো কলস পুজো বা একেবারে ছোট আকারের একটি প্রতিমা পুজো করব। তবে এবার পুজোর প্রসাদ বা ভোগ বিতরণ করা হবে না। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিতে পারবেন দর্শনার্থীরা।’
আরডিএসও দুর্গাপুজো কমিটির পক্ষ থেকে তীর্থ সেনগুপ্ত বলেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুজোর সমস্ত ব্যবস্থার ব্যাপারে একটি আলোচনা সভা ডাকা হয়েছে। আমরা ছোট আকারের একটি প্রতিমা গড়ার বায়না দেব বলে ঠিক করেছি। ‘বন্ধুমহল’–এর সভাপতি মনোজ ভদ্র বলেন, ‘এই করোনা মহামারীর সময় দুর্গাপুজো উদ্যাপনের পাশাপাশি মণ্ডপে আসা ভক্তদের স্বাস্থ্যের ওপরও আমাদের নজর দিতে হবে। হাতে খুব কম সময় থাকলেও আমাদের ক্লাবের সদস্যরা বড় পুজো এবং ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছেন। ছোট প্রতিমার বায়না দেওয়ার পাশাপাশি পুরোহিত, ঢাকিদেরকেও বলা হয়ে গিয়েছে।’
প্রায় ৪০ বছর ধরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করছে লখনউয়ের রামকৃষ্ণ মঠ। মঠের সভাপতি স্বামী মুক্তিনাথানন্দ বলেন, ‘সমস্ত নিষ্ঠা এবং কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একেবারে কম লোকজন নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মঠে পুজো হবে।’