নীরজ সন্তোষী
২০২০-২০২২ এই তিনবছরে উত্তরাখণ্ডে মানুষ ও পশুর সংঘাতে অন্তত ১৬১জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৬৬জন চিতাবাঘের আক্রমণে, ২৮জন হাতির হানায়, ১৩জন বাঘের হানায়, ৫জন ভালুকের আঘাতে, ৪৪জন সাপের কামড়ে মারা গিয়েছেন। সেই সময়কালে সব মিলিয়ে ৬৪১জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৮৬জন চিতাবাঘের হানায়, ২৭জন হাতির হানায়, ২৩জন বাঘের হানায়, ১৭৮জন ভালুকের হানায় ও ১৪৫জন সাপের কামড়ে আহত হয়েছিলেন। বনমন্ত্রী সুবোধ উনিয়াল বিজেপি বিধায়ক মহেশ জেনার প্রশ্নের উত্তরে বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে লিখিতভাবে একথা জানিয়েছেন।
এদিকে এর আগে কংগ্রেস বিধায়ক অনুপমা রাওয়াত প্রশ্ন তুলেছিলেন বনবস্তি বাসিন্দাদের জঙ্গলে পশুপালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক। সরকার তাদের কল্যাণের জন্য কী করছে?
রাজ্যের বনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বনবস্তির বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজাজি টাইগার রিজার্ভের ১৩৯৩জন বনবস্তিবাসীকে বিভিন্ন জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জঙ্গল নষ্ট করা হচ্ছে সেকারণে তাদের জঙ্গলে পশুপালন করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিজেপি বিধায়ক মুন্না সিং চৌহানও এই বনবস্তিদের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন বনাঞ্চলে রাতে যাওয়ার অধিকার কি বনবস্তিবাসীদের আছে? পুনর্বাসন পাওয়া বনবস্তিবাসীদের অনেকেই জঙ্গলে যাচ্ছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গোটা দেশজুড়ে মানুষ ও পশুর মধ্য়ে সংঘাত অব্যাহত। লোকসংখ্য়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই সংঘাত যেন ক্রমশ বাড়ছে। মূলত বনাঞ্চলে খাবারের অভাবের জেরেই পশুরা লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ছে। মূলত খাবারের লোভেই তারা বেরিয়ে আসে। একাধিক ক্ষেত্রে হাতির করিডরের উপরেও লোকবসতি হয়ে গিয়েছে। এর জেরে মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছে। জঙ্গল কেটে হচ্ছে নগরায়ন। জঙ্গলের ধার ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে পর্যটনক্ষেত্র। ফাঁকা হচ্ছে জঙ্গল। যার জেরে আরও বাড়ছে সংঘাত।