আজই কি ইস্তফা দিয়েছেন নাকি আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চলেছেন তিরথ সিং রাওয়াত? তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে উত্তরাখণ্ডে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন। শীঘ্রই সে বিষয়ে সরকারিভাবে ঘোষণা করবেন তিরথ। তারইমধ্যে আগামিকাল (শনিবার) দুপুর তিনটেয় বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির পরিষদীয় দল।
চারমাসেক আগেই ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি পেয়েছিলেন পাউরি গারোয়ালের সাংসদ। নিয়ম অনুযায়ী, ছ'মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হত। যে মেয়াদ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। উপনির্বাচনের জন্য গঙ্গোত্রী এবং হলদিওয়ানির আসনও ফাঁকা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আপাতত কোনও উপনির্বাচন করতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। নাম গোপন রাখার শর্তে কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী বছর মার্চে উত্তরাখণ্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই বিশেষ আবেদন ছাড়া বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কমিশন কোনও উপনির্বাচন করবে না।
তারইমধ্যে শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা করেন তিরথ। যিনি বুধবার দিল্লিতে পৌঁছে রাতে নড্ডার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি জানান, রাজ্যের রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি। আর উপনির্বাচন হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। যদিও কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, সেই বিশেষ আবেদনটাই আসেনি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বা বিজেপির তরফ থেকে। ফলে আদৌও বিজেপি তিরথকে রাখতে চাইছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সেই পরিস্থিতিতে আগামিকাল দুপুর তিনটেয় বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির পরিষদীয় দল। সেজন্য নরেন্দ্র সিং তোমরকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হবে। সূত্রের খবর, সেখানেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। আপাতত বিজেপির হাতে ৫৬ জন বিধায়ক আছেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করা হবে।