মোহন রাজপুত
উঁচু জাতের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন তথাকথিত এক দলিত যুবক। গত ২১ অগস্ট তাঁদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার সেই যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ওই বধূর পরিবারের বিরুদ্ধে। উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ার ঘটনা। এদিকে বিয়ের পরেই নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছিলেন ওই নববধূ। কিন্তু তারপরেও এই ভয়াবহ ঘটনা।
মৃতের নাম জগদীশ চন্দ্র। বয়স ৩৮ বছর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মহিলার সৎ বাবা যোগা সিং, সৎদাদা গোবিন্দ সিং ও সৎমা ভাবনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে ওই যুবক এর আগে বিধানসভা নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন। আলমোড়ার পুলিশ সুপার প্রদীপ রাই জানিয়েছেন, তিনজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর ওই যুবক কলের মিস্ত্রির কাজ করতেন। কিছুদিন আগেই গীতা ওরফে গুড্ডির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। তাঁকেই বিয়ে করেন ওই যুবক। ২১ অগস্ট স্থানীয় মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হয়।
এদিকে এই বিয়েতে খুশি ছিলেন না গীতার পরিবার। যুবককে শিক্ষা দিতে সুযোগ খুলছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউপিপির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন জগদীশ। পুলিশ জানিয়েছে, গীতার আত্মীয়রা তাকে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে ইউপিপি নেতা পিসি তিওয়ারি জানিয়েছেন, জগদীশ দলিত নেতা ছিলেন। তাঁকে রক্ষা করতে পারল না পুলিশ। ওই মহিলার উপর অত্যাচার চালাতেন পরিবারের লোকজন। সেকারণেই তাঁকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কথা কানে নিল না। এই করুণ পরিণতি হল তাঁর।