অভিবাসন রুখতে এবং কর্মসংস্থান বিকাশের লক্ষ্যে ভারত-চিন সীমান্তের প্রায় ১০০টি গ্রামে আন্তর্জাতিক সীমান্ত উন্নয়ন কর্মসূচির অন্তর্গত উন্নয়ন পরিকল্পনার খসড়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে খুব তাড়াতাড়ি পাঠাতে চলেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী সুবোধ উনিয়াল।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার পরিকল্পনার আওতায় রাখা হয়েছে সীমান্ত সংলগ্ন ১১টি ব্লকের অন্তর্ভুক্ত গ্রামগুলি। এই ১১টি ব্লকের মধ্যে ৪টি পিথোরাগড়ে, একটি চামোলিতে, তিনটি উত্তরকাশীতে, একটি উধম নগরে এবং দুটি চম্পাবত জেলায় পড়ছে।
উনিয়াল জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্ত উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এই গ্রামগুলিকে মডেল কৃষি গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমরা প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেকটাই বাড়বে।’
তাঁর দাবি, এই প্রকল্পে সীমান্ত এলাকায় কৃষি এবং উদ্যানশিল্পের উন্নয়ন ঘটবে। পাশাপাশি মাছ চাষ, পশু পালন, ডেয়ারি খামার ও মৌমাছি পালনের মতো বিকল্প পেশায় জোর দেওয়া হবে।
মন্ত্রীর আরও দাবি, রাজ্যে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা হলে ভিনরাজ্যে কর্মসংস্থানের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রবণতাও কমবে গ্রামবাসীর। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামের এক থেকে দশ কিমি ব্যাসার্ধ্বজুড়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হবে।
এ ছাড়া, এলাকায় পর্যটন ব্যবসা বাড়াতে এবং সীমান্তের গ্রামগুলি থেকে স্থানীয়দের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করতে চলতি মাসে নিতি উপত্যকা ও চামোলি জেলায় ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থা বন্ধ করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার।