চারধাম যাত্রার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। ২৮শে জুন এব্য়াপারে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতির জেরেই এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল।তবে চারধাম যাত্রার জন্য পূণ্যার্থীদের সংখ্যা অবশ্য সীমিত করা হয়েছে। কেদারনাথের জন্য ৮০০জন, বদ্রিনাথের জন্য এক হাজার জন, গঙ্গোত্রীর জন্য ৬০০জন ও যমুনোত্রীর জন্য ৪০০জনের কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মামলাকারীদের পক্ষে শিব ভট্ট জানিয়েছেন, চারধামে হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুল্যান্স মজুত রাখার ব্যাপারেও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হরিদ্বার থেকে চারধাম পর্যন্ত নানা ব্যবস্থা করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেড. অক্সিজেন, চিকিৎসক সহ অন্য়ান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ বৃদ্ধি করার ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পয়লা জুলাই থেকে চারধাম যাত্রা শুরু করার ব্যাপারে উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তাতে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। চারধামে পুজোপাঠ অনলাইনে দেখানোর ব্যাপারেও নির্দেশ দেয় আদালত। এদিকে রাজ্য সরকার স্থগিতাদেশের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায়। পরে সেই পিটিশন বাতিল করে ফের হাইকোর্টে যায় রাজ্য। কোভিড কেস কমছে এই কথা জানিয়ে চারধাম যাত্রায় স্থগিতাদেশ তোলার আবেদন জানায় রাজ্যসরকার। এদিকে চারধাম যাত্রা নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলাও হয়। অন্যদিকে সাধুসন্তরা, হোটেল ও রিসর্টের মালিকরা, ট্যুর অপারেটররাও চারধাম যাত্রা চালু করার ব্যাপারে চাপ দেওয়া শুরু করেন। এদিকে এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়। সব কিছু যখন খোলা রয়েছে তখন কেন চারধাম যাত্রা বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলা হয়। তবে এবার চারধাম যাত্রার সুযোগ বৃদ্ধি পেল আদালতের নির্দেশে। প্রসঙ্গত কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, যমুনোত্রী ও গঙ্গোত্রী মিলিয়ে চারধাম যাত্রা বলা হয়।