উত্তরাখণ্ডের বাইরের কোনও বাসিন্দা যাতে আর ওই রাজ্যের কোনও কৃষিজমি বা উদ্যানপালনের জন্য বরাদ্দ জমি কিনতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই পাকা করতে চাইছে সরকার। যদিও রাজ্যের উধম সিং নগর ও হরিদ্বার জেলার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে না। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) এই সংক্রান্ত একটি কঠোর ও সংশোধিত জমি আইনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উত্তরাখণ্ড মন্ত্রিসভা।
২০১৮ সালে ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত সরকার জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে যে আইন বলবৎ করেছিল, এই সংশোধিত আইনে, তা খারিজ করার কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে, নয়া আইন কার্যকরা করা হলে উত্তরাখণ্ডে জমি কেনাবেচা করতে হলফনামা পেশ করা বাধ্যতামূলক ঘোষিত হবে। পাশাপাশি, জমি কেনার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলাশাসকদের এত দিন যে অধিকার ছিল, তাতেও কাঁচি চালানো হয়েছে।
খুব সম্ভবত রাজ্যের চলতি বাজেট অধিবেশনেই এই সংশোধিত ও কঠোর আইন পেশ করা হবে। প্রসঙ্গত, এবারের এই বাজেট অধিবেশন চলবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সংশোধিত জমি আইন সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস করা হয়। যার পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এ নিয়ে পোস্টও করেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। তাঁর দাবি, রাজ্যের প্রকৃত সংস্কৃতি রক্ষা করতে এবং আমজনতার আবেগ ও দাবির প্রতি সম্মান জানিয়েই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
সূত্রের দাবি, হরিদ্বার ও উধম সিং নগর বাদে যদি রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে বাইরে থেকে আসা কোনও ব্যক্তি অন্য ধরনের জমি কিনতে চান, তাহলে তাঁকে অবশ্যই এর জন্য হলফনামা পেশ করতে হবে। সরকারের দাবি, এর ফলে জালিয়াতি বা যেকোনও ধরনের অনিয়ম রোখা সম্ভব হবে।
এবং নয়া আইন চালু হয়ে গেলে জেলাশাসকরা আর জমি বিক্রি করার অনুমতি দিতে পারবেন না। বদলে রাজ্য সরকারের একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সমস্ত কাজ সারা হবে। এছাড়া, পার্বত্য জমি যাতে দখল করে না নেওয়া হয়, এবং জমির অপব্যবহার যাতে আটকানো যায়, তার জন্য সেগুলির একত্রীকরণ করা হবে।
এবার থেকে প্রত্যেক জেলাশাসককে নিয়মিতভাবে জমি কেনাবেচা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য রাজ্য রাজস্ব পর্ষদ এবং রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। পুর এলাকাগুলিতে যদি কোনও জমি থাকে, তাহলে তা শুধুমাত্র আগে থেকে নির্ধারিত বা নির্দিষ্ট করে দেওয়া কাজের জন্যই ব্যবহার করা যাবে। যদি কোনও ব্যক্তি এই নিয়ম অমান্য করেন, তাহলে সেই জমির মালিকানা রাজ্য সরকারের হাতে চলে যাবে।