জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে উত্তরাখণ্ডের তরুণী অঙ্কিতা ভাণ্ডারীর। দেহে ছিল আঘাতের চিহ্ন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই তথ্য সামনে এল। ওই ১৯ বছরের রিসেপশনিস্টে খুনের অভিযোগ উঠেছে (বর্তমানে) বহিষ্কৃত বিজেপি নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।
অঙ্কিতার দেহের ময়নাতদন্ত করেছে হৃষিকেশ এইমসের ফরেন্সিক মেডিসিন অ্যান্ড টক্সিকোলজি বিভাগের চার চিকিৎসকের একটি কমিটি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৯ বছরের অঙ্কিতার দেহে ‘অ্যান্টিমর্টেম’ আঘাতের চিহ্ন আছে। অর্থাৎ মৃত্যুর আগে সেই আঘাত লেগেছিল। তবে কী ধরণের আঘাত ছিল, তা আপাতত বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি। ওই কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ‘কী ধরণের আঘাত লেগেছিল এবং অন্য যা যা তথ্য উঠে এসেছে, তা ময়নাতদন্তের বিস্তারিত রিপোর্টে জানানো হবে।’
গত শনিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের চিল্লা খাল থেকে অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার করেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারইমধ্যে (বর্তমানে) বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলকিতের রিসর্টেই রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন অঙ্কিতা। যে শুক্রবার বুলডোজার দিয়ে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন পুলকিতের রিসর্ট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Malda Murder: ‘আমি খুন করেছি’, স্ত্রীর মুণ্ড কেটে চিৎকার করল স্বামী, মালদার হবিবপুরে আলোড়ন
পাউরি গারওয়ালের সিনিয়র পুলিশ সুপার যশবন্ত সিং জানিয়েছেন, অঙ্কিতাকে দেহব্যবসায় নামতে জোরাজুরি করা হচ্ছিল। সেই সংক্রান্ত হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটও পুলিশের হাতে এসেছে। যে চ্যাট বন্ধু এবং সহকর্মীদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ায় পুলকিতরা ক্ষুব্ধ হয়েছিল। গত সোমবার সকাল সেই বিষয় নিয়ে পুলকিতদের সঙ্গে কথাকাটিতে জড়িয়েছিলেন অঙ্কিতা। তারপর অঙ্কিতাকে চিল্লা খালে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল পুলকিত ও তার দুই সহযোগী - সৌরভ ভাস্কর (৩৫) এবং অঙ্কিত গুপ্তা (১৯)। সেইসময় তিনজনই মদ খেয়েছিল বলে জানিয়েছেন পাউরি গারওয়ালের সিনিয়র পুলিশ সুপার।
যদিও সেই ঘটনার পর ভুয়ো গল্প ফেঁদে পুলিশের কাছে অঙ্কিতার নামে ‘মিসিং ডায়েরি’ করেছিল পুলকিত। পরে হোয়্যাটসঅ্যাপ এবং দেহব্যবসায় নামানোর ক্ষেত্রে জোরাজুরি করার বিষয়টি সামনে আসতেই জনরোষের মুখে পুলকিত। পুলকিতের রিসর্টে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। তুমুল চাপের মুখে পড়ে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয় বিনোদকে।