আত্মহত্যা করলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র বহুগুনা। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের নাতনিকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ করেছিলেন তাঁরই পুত্রবধূ। নিজের নাতনির শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার কয়েকদিন পরেই গতকাল তিনি আত্মহত্যা করলেন। একটি জলের ট্যাঙ্কের উপরে উঠে নিজের বুকে গুলি করে আত্মঘাতী হন প্রাক্তন এই মন্ত্রী।
হলদওয়ানির সার্কেল অফিসার ভূপিন্দর সিং ধোনি জানিয়েছেন যে বহুগুনার পুত্রবধূ তাঁর বিরুদ্ধে নাতনির শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনে মামলা করা হয়েছিল। ধোনি আরও জানান, প্রতিবেশী সবিতার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। সবিতার অভিযোগ ছিল, নিজের শাশুড়ির সঙ্গে হাঁটতে গিয়ে তাঁকে রাজেন্দ্রর মুখ থেকে গালিগালাজ, হুমকি শুনতে হয়েছিল।
আত্মহত্যা করার আগে বহুগুনা পুলিশকে ডেকেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশকে ডাকার পরই জলের ট্যাঙ্কে উঠে পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। আত্মহত্যার পর পুলিশ পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা দায়ের করে। পুলিশ কর্তার বক্তব্য, ‘পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনার পর ট্যাঙ্ক থেকে তাঁকে (প্রাক্তন মন্ত্রী বহুগুনা) নামতে রাজি করায়। কিন্তু তারপরই আচমকা বন্দুক নিয়ে নিজের বুকে গুলি করেন তিনি। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বেশ কয়েকটি চেষ্টা করা হয়েছিল।’ উল্লেখ্য, বহুগুনা উত্তরাখণ্ড রোডওয়েজের কর্মচারী ছিলেন। ২০০২ সালে রাজ্যের প্রথম নির্বাচিত সরকারে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।