আব্রাহাম থমাস
সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনে শূন্যপদগুলি সময়মতো এবং স্বচ্ছভাবে পূরণের নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদনে করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত সোমবার কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এস কে কউলের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চের সামনে সোমবার এই মামলাটি উত্থাপিত হয়। এনজিও 'কমন কজ' এই পিটিশন দায়ের করেছিল। সেই পিটিশনের প্রেক্ষিতে নোটিশ জারি করে তিন সপ্তাহের মধ্যে জমাম দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আবেদনকারীর বক্তব্য, বর্তমানে শুধুমাত্র একজন কমিশনার পুরো কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২১ সালের ৬ জুন থেকে তিনি একাই কাজ করে চলেছেন। আবেদনকারীর অভিযোগ, সরকার যে কেবলমাত্র দীর্ঘস্থায়ী শূন্যপদগুলি সময়মতো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়, বরং কয়েক মাস আগে বিজ্ঞাপন জারি করার সাথে সাথে চালু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে আরটিআই করা হলে তার কোনও জবাব দিতে অস্বীকার করে সরকার। ভিজিল্যান্স কমিশনার এবং সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনারের পদের শূন্যপদ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছে না কেন্দ্র।
ভারতের সংবিধানের ধারা নং ১৪, ১৯ এবং ২১ অনুযায়ী সরকারি পদে থাকা নির্বাহীর তথ্য জানার অধিকার রয়েছে আম নাগরিকের। তবে সেক্ষেত্রে সরকার সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। এই আবহে আবেদনকারীর দাবি, কেন্দ্রীয় ভইজিল্যান্স কমিশনের বাছাই প্রক্রিয়া বা নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত বিবরণ এবং নথিগুলি জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ধরনের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।