আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়ে দেবে কেরালা সরকার।শনিবার এই কথাই জানালেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে ভ্যাকসিন দেওয়ার এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়, এবার সেই লক্ষ্যেই এগোতে চায় কেরালা সরকার।
এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার কোর কমিটির বৈঠক করেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী।বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৪০ বছরের বেশি রাজ্যে প্রায় ৫০ লাখের মতো লোক আছে।তাঁদের সকলকে যাতে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়ে দেওয়া যায়, সরকার সেই লক্ষ্যমাত্রা রাখছে।জুনের শেষের দিকে ৩৮ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ চলে আসবে।ফলে জুলাইয়ের মধ্যে সবাইকে এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়ে যাবে।একইসঙ্গে তিনি জানান, তৃতীয় ঢেউ আসার আগে যাতে সকলকে যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, সরকারের তরফে সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিউটেশনের ওপর আনরা পড়াশোনা করছি।জানা যাচ্ছে, করোনার তৃতীয় ঢেউতে শিশুরা বিশেষ করে সংক্রমিত হতে পারে।সেজন্য আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, কেরালায় শনিবারের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৫ হাজার জনের করোনা পরীক্ষা করানো সম্ভব হয়েছে।তারমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩২৮ জন।পজিটিভিটি রেট ১৪.৮৯ শতাংশ।গত দুই দিনে এই আক্রান্তের হারের সংখ্যা ১৫ শতাংশের নীচেই রয়েছে।অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও নেমে এসেছে।সেক্ষেত্রে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩৮ জন।শনিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ হাজার জন।সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ২,৪৬৮ জন।এরপরেই আছে মাল্লাপুরম। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৮০ জন।তারপরে পালাক্কাড। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৮৯ জন।তবে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।শনিবার মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৯ জন।ফলে এখনও পর্যন্ত কেরালায় মৃতের সংখ্যা ৯,৭১৯ জনে গিয়ে ঠেকেছে।এদিকে মে–এর প্রথম সপ্তাহ থেকেই কেরালায় লকডাউন শুরু হয়েছে।এই লকডাউন ৯ জুন পর্যন্ত চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বলেই মনে করা হচ্ছে।