একদিকে করোনার ভ্যাকসিনের অভাবের জেরে দেশজুড়ে হাহাকার দেখা দিয়েছে৷ বিভিন্ন রাজ্যে সেই কারণে টিকাকরণের প্রক্রিয়ার গতি কমে গিয়েছে৷ ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের ঘোষণা করা হলেও তা শুরু হয়নি অধিকাংশ রাজ্যে। ঠিক সেই সময়ই সামনে এল দেশে টিকা অপচয়ের চিত্র। কেন্দ্রের সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের দুটি রাজ্যে করোনা টিকার অপচয়ের হার ৩০ শতাংশের বেশি।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে দেশে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে যে এই দুই রাজ্যে তিনটির মধ্যে একটি ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে ৩৭.৩ শতাংশ করোনার ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। তালিকা শীর্ষে রয়েছে দেশের এই রাজ্য। দ্বিতীয় স্থানে ছত্তিশগড়৷ সেখানে ৩০.২ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে৷ সারা দেশে ভ্যাকসিন নষ্টের হার ৬.৩ শতাংশ।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই তথ্যের সঙ্গে সহমত নন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন৷ তিনি টুইট করে এই নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন৷ তাঁর দাবি, ঝাড়খণ্ডে মাত্র ৪.৬৫ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে৷ তবে তাঁর আশ্বাস, এটাও যাতে না হয়, সেদিকে তাঁর প্রশাসন নজর রেখেছে৷
টুইট বার্তায় তার দফতরের তরফে এই বিষয়ে দাবি করা হয়, 'ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে টিকা নষ্টের হার ৪.৬৫ শতাংশ। তবে কোউইন সার্ভারে পুরো তথ্য আপলোড করা হয়নি এখনও। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।'