করোনা টিকা গ্রহণের পরে শরীরে তৈরি হয় রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি। কিন্তু করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বেশ কিছুক্ষেত্রে সেই অ্যান্টিবডিকে হার মানাতে সক্ষম। যদিও তা ১০০ শতাংশ নয়। ভারতীয় ও ব্রিটিশ গবেষকদের এক সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এমনটাই তথ্য।
E484Q ও L452R-এর মিউটেশনের ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টের উপর করোনা টিকার কার্যকরিতা নিয়ে এর আগে প্রশ্ন উঠছিল। সে প্রসঙ্গে গবেষক ডঃ অনুরাগ আগরওয়াল বলেন, 'করোনা টিকা গ্রহণের পর তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলি এই ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাসকে কিছুটা আটকাতে পারে। কিন্তু সম্পূর্ণ কার্যকর নয়। তাই একেবারে অকার্যকর বলাটা ঠিক নয়। তাছাড়া প্রতিটি টিকাই রোগ গুরুতর পর্যায়ে যাওয়া রোধ করতে সক্ষম।'
তিনি জানান, টিকা গ্রহণ করার পরেও যাঁদের সংক্রমণ হয়েছে, তাঁদের উপরেই পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। 'দুটি টিকার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে গ্রহণ করার পরেও করোনা সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু সিংহভাগ ক্ষেত্রেই মাইল্ড সিম্পটম দেখা গিয়েছে।' অর্থাত্, টিকা গ্রহণ করা থাকলে সংক্রমণ সম্পূর্ণ রোধ না হলেও, এটি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে অসুস্থতা আটকাতে সক্ষম। এমনটাই উঠে আসছে সমীক্ষায়।
তাই টিকা নিয়েও করোনা হচ্ছে এই ধরনের মানসিকতা না রাখাই শ্রেয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। টিকা গ্রহণ করা থাকলে করোনা সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থতার সম্ভাবনা অনেকটাই হ্রাস হয়।