গুজরাটের বরোদায় গাড়ির ধাক্কায় স্কুটারে থাকা মহিলাকে মারার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন রক্ষিত রবিশ চৌরাসিয়া। ২৩ বছর বয়সি আইনের পড়ুয়া অবশ্য দাবি করলেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন না, বরং রাস্তায় গর্তের কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন বলে দাবি রক্ষিতের। উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ ভোররাত সাড়ে ১২টা নাগাদ করেলিবাগ এলাকার মুক্তানন্দ মোড়ের কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। এরপরই অভিযুক্ত রক্ষিতকে পথচারীরা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তাতে অভিযুক্তকে 'অ্যানাদার রাউন্ড', 'নিকিতা' এবং 'ওম নম্ঃ শিবায়' বলতে শোনা গিয়েছে। যদিও ভাইরাল ভিডিয়ো হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা যাচাই করেনি। (আরও পড়ুন: ইউনুস ও রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের ইফতারি পার্টিতে 'অব্যবস্থা'? মৃত ১ রোহিঙ্গা, জখম ২)
আরও পড়ুন: হোলিতে ছড়াল হিংসা, ছোড়া হল পাথর, বাইক-দোকানে আগুন, জখম বেশ কয়েকজন
আরও পড়ুন: রাজ্য সভাপতি নিয়ে জল্পনার মাঝে ১৭ জেলার সভাপতি বদল BJP-র, পদ গেল একাধিক MLA-র
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃত মহিলার নাম হেমালি প্যাটেল। তিনি দুর্ঘটনার সময় স্কুটি চালাচ্ছিলেন। ডিসিপি পান্না মোমায়া জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ করেলিবাগ এলাকার মুক্তানন্দ ক্রসিংয়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা চৌরাসিয়া আইনের ছাত্র এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করার জন্যে গুজরাটে থাকেন। তিনি বলেন, 'শুরুতে গাড়ির গতি অনেক বেশি ছিল। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ঘটনাও হতে পারে এটি। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তা জানতে আমরা একটি মেডিক্যাল পরীক্ষা করেছি।' মোমায়া জানান, চৌরাসিয়ার ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে। (আরও পড়ুন: বিদেশের মাটি থেকে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে 'গোপন অভিসন্ধি' বাংলাদেশি দূতের?)
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ, কলম্বিয়ার ভারতীয় স্কলারের ভিসা বাতিল USA-র
আরও পড়ুন: হোলির উপহার! রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বাড়ল
এদিকে রক্ষিতকে ঘটনাস্থলে যাঁরা আটকেছিলেন, তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, যে তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন এবং গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পরে 'আরও এক রাউন্ড', 'নিকিতা' বলে চিৎকার করছিলেন। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে ধরলে তিনি নিজের রুদ্রাক্ষের মালা বের করে 'ওম নম্ঃ শিবায়' বলতে থাকেন। যদিও অভিযুক্ত রক্ষিতের বক্তব্য, 'রাস্তায় গর্তের কারণে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। গাড়িটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলছিল। আমার সামনে একটি স্কুটি ও একটি গাড়ি ছিল। আমি মাতাল ছিলাম না। আমি নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে চাই কারণ এটি আমার ভুল ছিল। তাঁরা যা চান, তাই হওয়া উচিত।' তিনি বলেন, 'আমি কোনও পার্টি করিনি, আমি হোলিকা দহনের জন্য গিয়েছিলাম এবং মদ্যপ ছিলাম না। গাড়িটি স্বয়ংক্রিয় ছিল। এয়ারব্যাগ খুলতেই আমি আতঙ্কিত হয়ে ব্রেকের বদলে অ্যাক্সিলেটরে চাপ দিই।'