থানার 'সাংস্কৃতিক' অনুষ্ঠান। আর সেখানেই চটুল ভোজপুরি গান চালিয়ে বার ডান্সারদের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের নৃত্য। চলল প্রায় সারারাত। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর এখন অবশ্য বেশ চাপে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত কেস-এর খাতায় নাম উঠেছে ১২ জন কনস্টেবলের।
ঘটনাটি বিহারের বৈশালী জেলার। সেই জেলার পুলিশ লাইন্স-এর ক্যাম্পাসের মধ্যেই শিবরাত্রি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।
এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। তবে, কিছু অত্যুৎসাহী পুলিশকর্মীর উদ্যোগে ভাড়া করা হয় ডিজে। সেই সঙ্গে আনা হয় বেশ কয়েকজন বার ডান্সারকে। রাত হতেই চালু হয়ে যায় লাউডস্পিকার। ডিজের বক্স থেকে বাজতে থাকে চটুল ভোজপুরি গান। সঙ্গে মঞ্চে উদ্দাম নাচ বার ডান্সারদের। সিনিয়রদের সামনেই নাচতে শুরু করে দেন বেশ কিছু পুলিশকর্মীও। কেউ কেউ লাফিয়ে উঠে পড়েন মঞ্চেও। নাচ চলে প্রায় সারারাত।
তবে, মুশকিল হল একটাই। ঘটনার সময়ে স্মার্টফোনে ভিডিয়ো করছিলেন কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডও করেন। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। সমাজে শান্তিরক্ষকদেরই এমন অশান্তিপূর্ণ আচরণে ধেয়ে আসে তীব্র নিন্দা।
প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছেন বৈশালীর জেলা প্রশাসনের কর্তারাও। জেলার এসপি এ বিষয়ে এসডিপিও-কে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে মামলা রুজু করা হয়েছে ১২ জন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
জেলার এক পুলিশকর্তার কথায়, 'এটা লাউডস্পিকার আইনের বিরোধী কাজ হয়েছে। তাই লাউডস্পিকার ও ডিজে মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জেলায় লাউডস্পিকার বাজানোও নিষিদ্ধ। তাছাড়া এই অনুষ্ঠানের কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।'