বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Vampire Skeleton Found: পোল্যান্ডে উদ্ধার মহিলা ‘ভ্যাম্পায়ারের’ কঙ্কাল! হতবাক প্রত্নতাত্ত্বিকরা

Vampire Skeleton Found: পোল্যান্ডে উদ্ধার মহিলা ‘ভ্যাম্পায়ারের’ কঙ্কাল! হতবাক প্রত্নতাত্ত্বিকরা

উদ্ধার ভ্যাম্পায়ারের কঙ্কাল (প্রতীকী ছবি - হিন্দুস্তান টাইমস)

গবেষকরা যে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, তার গলার সামনে কাস্তে ছিল এবং পা বাঁধা ছিল একটি তালা দিয়ে। পোল্যান্ডের পিয়েন গ্রামে এই দেহের সন্ধান পাওয়া গেছে।

পোল্যান্ডের একটি কবরস্থান থেকে 'মহিলা ভ্যাম্পায়ার'-এর দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এমনই দাবি করা হল নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, গবেষকরা যে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, তার গলার সামনে কাস্তে ছিল এবং পা বাঁধা ছিল একটি তালা দিয়ে। পোল্যান্ডের পিয়েন গ্রামে এই দেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। (আরও পড়ুন: ‘...চনমনে হন কর্মীরা’, DA মামলা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য হাই কোর্টের বিচারপতির)

উল্লেখ্য, পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, কোনও ‘ভ্যাম্পায়ার’ যাতে মরে ফের বেঁচে না ওঠে, তার জন্য গলায় কাস্তা দেওয়া থাকত মৃতদেহের। এই আবহে এই মৃতদেহের গলাতেও কাস্তে মেলায় মনে করা হচ্ছে, গ্রামবাসীরা মহিলাকে ভ্যাম্পায়ার বলে সন্দেহ করত। এই গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন টরুনের নিকোলাস কোপার্নিকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যারিউস পোলিনস্কি। দলটি বলেছে যে দেহাবশেষগুলির সঙ্গে একটি সিল্কের হেডড্রেসও ছিল। তা সোনা বা রুপোর সুতো দিয়ে বোনা। এদিকে এই তালা এবং কাস্তে ১৭ শতকের কুসংস্কারের ‘চিহ্ন’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক দারিউস পলিন্সকি জানিয়েছেন, কঙ্কালের সামনের দাঁত সামান্য উঁচু। অধ্যাপকের কথায়, ভ্যাম্পায়ারের ভয় থেকে কোথাও মৃতদেহের পা ভেঙে দেওয়া হত। কোথাও আবার মাথার খুলিতে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হত। কল্পকথা অনুসারে, ভ্যাম্পায়াররা জীবত মানুষের রক্ত খেয়ে নিজের আয়ু বাড়াত। সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীতে পূর্ব ইউরোপে ভ্যাম্পায়ারের ভয় কার্যত হিস্টিরিয়ার আকার নেয়। সেই সময়কার ভ্যাম্পায়ার ভীতি সম্পর্কে এই কঙ্কাল থেকে বেশ কিছু সূত্র মিলতে পারে বলে আশা করছেন গবেষকরা।

বন্ধ করুন