বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Vande Bharat deal: ৩০,০০০ কোটিতে ১২০টি বন্দে ভারত, রাশিয়া ও ভারতের কোম্পানির মধ্যে মন কষাকষি চরমে

Vande Bharat deal: ৩০,০০০ কোটিতে ১২০টি বন্দে ভারত, রাশিয়া ও ভারতের কোম্পানির মধ্যে মন কষাকষি চরমে

চেন্নাইতে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হচ্ছে বন্দে ভারত। (ANI Photo)

সূত্রের খবর, কথাবার্তা যেদিকে এগিয়েছে তাতে রাশিয়ার কোম্পানির অংশীদারিত্ব থাকবে ৮০ শতাংশ ও ভারতের কোম্পানির ২০ শতাংশ। কিন্তু ভারতের রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড চাইছে ৬৯ শতাংশ কাজের শেয়ার।

বন্দে ভারত তৈরির চুক্তিকে কেন্দ্র করে ভারত ও রাশিয়ার কোম্পানির মধ্য়ে কিছুটা মনোমালিন্য দেখা  দিয়েছে বলে খবর। তবে রাশিয়া ও ভারতের মধ্য়ে বরাবরে সখ্য়তা। কিন্তু কী এমন হল আচমকা? 

লাইভ হিন্দুস্তানের খবর অনুসারে রাশিয়ার কোম্পানি ট্রান্সমাসহোল্ডিং ১২০টি বন্দে ভারত তৈরি, সরবরাহ ও নজরদারির বরাত পেয়েছিল। মানে ভারত ও রাশিয়ার কোম্পানি যৌথভাবে এগুলি তৈরি করবে। কিন্তু ট্রেন তৈরি করার এই অংশীদারিত্ব নিয়েই পরস্পরের মধ্য়ে মন কষাকষি শুরু হয়েছে বলে খবর। 

আসলে ভারতীয় কোম্পানি বেশি অংশীদারিত্ব দাবি করেছে। কিন্তু রাশিয়ার কোম্পানি এটা মানতে পারছে না। এটা থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। ১২০টি বন্দে ভারত তৈরির জন্য মোট খরচ ৩০,০০০ কোটি টাকা। আগামী ৩৫ বছর ধরে সেটা দেখভালও করতে হবে। ভারত ও রাশিয়ার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগ। 

এদিকে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুসারে রাশিয়ার ওই কোম্পানি ও ভারতের রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড এই বরাত পেয়েছে। তারাই ১২০টি বন্দে ভারত তৈরির টেন্ডার পাচ্ছে বলে খবর। এদিকে রাশিয়ার ওই কোম্পানির ট্রেন তৈরির ক্ষেত্রে একেবারে বিশ্বজোড়া নামডাক। 

এদিকে সূত্রের খবর, কথাবার্তা যেদিকে এগিয়েছে তাতে রাশিয়ার কোম্পানির অংশীদারিত্ব থাকবে ৮০ শতাংশ ও ভারতের কোম্পানির ২০ শতাংশ। কিন্তু ভারতের রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড চাইছে ৬৯ শতাংশ কাজের শেয়ার। এদিকে মেট্রোওয়াগনমাশের ২৫ এপ্রিলের চিঠি অনুসারে খবর, ২৬ শতাংশ কাজের অংশীদারিত্ব যাচ্ছিল মেট্রোওয়াগনমাশের হাতে আর ৫ শতাংশ লোকোমোটিভ ইলেকট্রনিক সিস্টেমের হাতে। 

এদিকে রাশিয়ার ফেডারেশনের বাণিজ্যিক প্রতিনিধিরা গত ৮ মে ভারত সরকারের কাছে নোট পাঠিয়ে জানিয়েছে, সরকার যেন রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডকে নির্দেশ দেয় তারা যাতে আগের চুক্তির শর্ত মেনে কাজ করে। কিন্তু এই রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড আবার বিশ্বস্ত পাবলিক সেক্টর ইউনিট বলে পরিচিত। সেক্ষেত্রে সরকার এই নির্দেশ কতটা দেবে তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে।

তবে এবার জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার। আপাতত যেটা বোঝা যাচ্ছে সরকারের একেবারে উপরমহলে এনিয়ে আলোচনা হতে পারে। তারপরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।