আরও আধুনিক হতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যা আগামী বছর জুনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। সূত্র উদ্ধৃত করে দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে। ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হযেছে, আগামী বছর মার্চের মধ্যে প্রথম প্রোটাটাইপ তৈরি হযে যাবে। তা জুনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরু করবে।
আরও আধুনিক বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে কী কী সুবিধা থাকবে? ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়া ভারত এক্সপ্রেসের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে। যাত্রীরাও আরও স্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করতে পারবেন। আসনে আরও আরামদায়কভাবে বসতে পারবেন যাত্রীরা। এসি ব্যবস্থা হবে সম্পূর্ণরূপে ব্যাকটেরিয়া-মুক্ত। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-সহ কোচের উপর নজরদারির জন্য সেন্ট্রালাইজড কোচ মনিটরিং সিস্টেম থাকবে। জরুরি অবস্থায় যাত্রীরা যাতে দ্রুত ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, সেজন্য থাকবে চারটি আপত্কালীন জানালা । কোনও কোচের পুরো আলো নিভে গেলে চারটি বিশেষ আলো থাকবে। যা 'ডিজাস্টার লাইট' হিসেবে পরিচিত। কোনও কারণে বিদ্যুত্ চলে গেলে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত ভেন্টিলেশন মিলবে। প্রতিটি কোচে দুটির পরিবর্তে চারটি 'এমার্জেন্সি বাটন' থাকবে। যা জরুরি অবস্থার সময় ব্যবহার করা যাবে। আগুন নেভানোর ব্যবস্থাও আরও আধুনিক হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আপাতত দেশে দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে - দিল্লি থেকে বারাণসী এবং দিল্লি থেকে কাটরা। যে ট্রেনের সৌজন্যে ১২-১৪ ঘণ্টার যাত্রাপথ কমে দাঁড়িয়েছে আট ঘণ্টায। তার ফলে স্লিপার ক্লাসের পরিবর্তে চেয়ার কারের মাধ্যমে যাত্রার উপর জোর দিতে পারছে রেল। তারইমধ্যে একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মধ্যে দেশের সব ব্যস্ত রুটে ভারতীয় রেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনা করেছে। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে ১০০ টির বেশি রেক তৈরি করা হবে। সেইসঙ্গে রায়বরেলি এবং কাপুরথালাতেও বন্দে ভারতের রেক তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।