এতদিন মাঝারি দূরত্বের পরিষেবার জন্য ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চেয়ারকার ব্যবস্থা। এবার দূরপাল্লায় পরিষেবা দিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার ট্রেন চালু করা হতে পারে। সূত্র মারফত খবর, চলতি বছরেই ওই ট্রেন নির্মাণের বরাত দেওয়া হতে পারে। আরও উন্নত প্রযুক্তির হবে ওই ট্রেন। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ২২০ কিলোমিটার হবে বলে জানাও হয় রেলের তরফে।
রাজধানী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের বিকল্প হিসেবে আসতে চলেছে বন্দে ভারতের স্লিপার ব্যবস্থা। গতি বাড়াতে ট্রেনের কোচগুলি স্টেনলেস স্টিলের বদলে তুলনায় হাল্কা অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। এতে ট্রেনের কামরা়র ওজনও কম হবে। চলতি বছরেই পরের ধাপের ৪০০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরি করতে উদ্যোগী হবে রেল। এর মধ্যে মোটামুটি ২০০টি স্লিপার ট্রেন তৈরি করা হতে পারে। নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরুর পর আগামী আট বছর ধাপে ধাপে ওই সংখ্যক ট্রেন তৈরি করা হবে। যদিও প্রশ্ন উঠছে, এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিতে ছোটার মতো পরিকাঠামো দেশের কতটা জায়গায় রয়েছে তা নিয়ে। ২০২৩ সালে ১৫ অগস্টের মধ্যে ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করার লক্ষ্য রেখেছে রেল মন্ত্রক। যদিও তা পূরণ হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। মাঝারি দূরত্বে পরিষেবা দেয় এমন শতাব্দী এক্সপ্রেসের বিকল্প হিসেবে চেয়ারকারের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আনার কথা আগেই জানানো হয়েছিল রেলের তরফে। ইতিমধ্যেই আটটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে দেশজুড়ে। কপূরথালার রেল কোচ কারখানা এবং রায়বরেলীর মডার্ন কোচ কারখানায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল।যদি সেখান থেকে এখনও কোনও ট্রেন নির্মাণ হয়নি।
ইতিমধ্যেই ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন ছোটাতে নয়াদিল্লি-হাওড়া এবং মুম্বই-নয়াদিল্লির লাইনে জোর কদমে কাজ চলছে। এই লাইনগুলির ওভারহেড কেবল তার বদল করা ছাড়াও সারাক্ষণ বিদ্যুতের জোগান ঠিক রাখতে অতিরিক্ত সাব স্টেশনও তৈরি করছে রেল। পাশাপাশি লাইনের স্লিপার উন্নত করা ছাড়াও ওয়েল্ডিং করা লম্বা রেল লাইন বসাচ্ছে এই পথে। দুর্ঘটনা এড়াতে সিগন্যালিং ব্যবস্থাতে কবচ প্রযুক্তি চালু করেছে রেল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রাথমিক ভাবে ওই সব রুটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup