উত্তরপ্রদেশে একই দিনে দুটি জায়গায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বিপত্তি। একটি ঘটনায় ষাঁড়কে ধাক্কা মারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অন্য ঘটনায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে দুটি ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে এরজেরে ট্রেন চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়। যার ফলে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: হাসছে দুর্গাপুর ও বোলপুর! বাংলার ২ বন্দে ভারত কোথায় দাঁড়াবে? রইল পুরো টাইমটেবিল
জানা গিয়েছে, ষাঁড়কে ধাক্কা মারার ঘটনাটি ঘটেছে ভরথানা রেলগেটের কাছে। অযোধ্যা ক্যান্ট থেকে ইটাওয়ার আনন্দ বিহারগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস একটি ষাঁড়কে ধাক্কা মারে। জানা গিয়েছে, ট্রেনে আনুমানিক ৫৬০ জন যাত্রী ছিল। আর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। সন্ধ্যে ৭.৫০ টা নাগাদ রেললাইনে চলে আসা ষাঁড়কে ধাক্কা মারে ট্রেনটি। যার ফলে ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সজোরে ধাক্কার ফলে ষাঁড়ের দেহ খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। এরফলে ষাঁড়ের দেহাবশেষ ইঞ্জিনে আটকে যায় এবং প্রেসার পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জেরে ট্রেনটি থেমে যায়।
২০বি ভরথানা রেলগেটের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেন থেমে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তারা ট্রেন থেকে নেমে রেললাইনের উপর বসে পড়েন। ঘটনায় ট্রেনের মধ্যে থাকা ইঞ্জিনিয়াররা ইঞ্জিন মেরামতের কাজে লেগে পড়েন। পরে অন্য ইঞ্জিনের সাহায্যে ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এর জন্য দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যায়। রেল সূত্রের খবর, প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পরে রাত ৯.২০ টা নাগাদ একদিল রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছেছিল। এরফলে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এ দুর্ঘটনায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে, ঠিক এই সময়ে কানপুরে বারাণসী থেকে নয়াদিল্লিগামী বন্দে ভারত ট্রেনে ঢিল ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। যদিও এর ফলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে বন্দে ভারতের জানলা ও দরজার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করা এই ঘটনায় জড়িত তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে রেললাইনের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও যাত্রীদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক তৈরি হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও বন্দে ভারতকে লক্ষ্য করে একাধিক জায়গায় ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।