দেশ জুড়ে একের পর এক রুটে চালু হচ্ছে বন্দে ভারত। প্রতিটির যাত্রা শুরু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। এই প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর মনের খুব কাছের। তবে তাঁর সেই সাধের বন্দে ভারতেই লাগল আগুন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে মধ্যপ্রদেশের কুরওয়াই কেথোরা রেলওয়ে স্টেশনে। ভোপাল থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন টার্মিনালগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগিতে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে। তবে এ ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এর জেরে রেলযাত্রীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে এসে এই রুটে বন্দে ভারতের উদ্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর যাত্রী পরিষেবা চালুর কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিপত্তি।
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনটি রানি কমলাপতি স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় একটি কোচের ব্যাটারি বক্সে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর সামনে আসতেই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানো হয়। সকাল ৭টা ৫৮ মিনিট নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বলে জানানো হয়। এদিকে ট্রেনটির পরীক্ষা চলছে বলে জানা গিয়েছে। পুরোপুরি খতিয়ে দেখে ট্রেনটিকে ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রেল। কী কারণে কোথা থেকে আগুন লেগেছে, তাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ইঞ্জিনিয়াররা। জানা গিয়েছে, সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ রেলেরই কিছু কর্মী প্রথমবার এই আগুন দেখেন। ট্রেনের সি১২ কোচের নীচে আগুনটা লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, যাত্রী এবং রেলকর্মীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েছেন। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে দেখছেন, ট্রেনের নীচে আগুন জ্বলছে। ট্রেনটি সেই সময় রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে লাইনের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শীঘ্রই রেলের কর্তারা সেখানে পৌঁছান। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। এদিকে ঘটনার জেরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও কেউ এর জেরে আহত হননি। সংবাদসংস্থা পিটিআই অনুযায়ী, যে কোচে আগুন লাগে, তাতে ২০ থেকে ২২ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের অন্য কামরায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ট্রেনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসের একটি এসি কামরায় আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।