বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতুর ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো ছুটে গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের জন্যে বিশেষ ভাবে তৈরি করা বন্দে ভারতটি প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ভাবে ছোটে কাশ্মীরে। এই ট্রেনটি আজ সকালে জম্মুর বৈষ্ণোদেবী থেকে ছাড়া হয়। এটি শ্রীনগর পর্যন্ত যায়। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি অঞ্জি খাদ রেল ব্রিজ এবং চেনা ব্রিজের ওপর দিয়ে যায়। এর মধ্যে চেনাব নদীর ওপর তৈরি চেনাব সেতুটি বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু। (আরও পড়ুন: গগনযান অভিযানে বড় পদক্ষেপ ইসরোর, চুপিসারে পাঠানো হল মডিউল)
আরও পড়ুন: BGB প্রধানের ভারত সফর ইস্যুতে 'ঝড়' বাংলাদেশে? মুখ খুলল সীমান্তরক্ষী বাহিনী
এর আগে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের অঞ্জি খাদ রেল ব্রিজে সফল ট্রায়াল রানে ছোটে এক টাওয়ার ওয়াগন। এটি ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজ। এই ট্রায়াল রানের ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল ভারতীয় রেল মন্ত্রক। সেই পোস্টে রেল মন্ত্রক লিখেছিল, 'জম্মু ও কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নয়া পালক জুড়ল। ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন রেল ব্রিজ, অঞ্জি খাদে সফল ভাবে টাওয়ার ওয়াগনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন করল ইউএসবিআরএল প্রোজেক্ট।' প্রসঙ্গত, উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি ছিল এই অঞ্জি খাদ রেল সেতু। এই রুটে বন্দে ভারত পর্যন্ত ছুটতে পারে বলে জল্পনা ছিল আগে থেকেই। তা নিয়ে আভাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই। (আরও পড়ুন: ঠিক কখন মৃত্যু হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের? সঞ্জয় রায় কি আদৌ সেই সময় আরজি করে ছিল?)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ছিল খলিস্তানি জঙ্গি নেতা পান্নুন, যা দেখে ভারত বলল...
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল? মুখ খুলল ভারতীয় সংস্থা
এদিকে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার থেকেও ৩৫ মিটার উঁচু চেনাব ব্রিজ। এই ব্রিজের মাধ্যমেই ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে কাশ্মীরের। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল ব্রিজ। এই বন্দে ভারতটি এই ব্রিজের ওপর দিয়েও ছুটবে। এই ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। পৃথিবীর উচ্চতম রেল ব্রিজে মোট ১৭ টি পিলার রয়েছে। ১৪৮৪ কোটি টাকার ইস্পাত ব্যবহার হয়েছে এই সেতু তৈরিতে। এই সেতুতে এইচ বিমের ওপরেই বসেছে রেললাইন। এই বিমগুলো যাচ্ছে কলকাতা থেকে। ১৬০০ মিটার রেল লাইন বসাতে ২৫০০ এইচ বিম যায় কলকাতা থেকে। এই ব্রিজ দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারবে। এর আগে এত উচ্চতায় কখনও কোনও দেশ এই ধরনের ব্রিজ তৈরি করতে পারেনি। রেলপথের কাজ শেষ হলে সরাসরি ট্রেনে চেপে দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাওয়া যাবে।