শ্রমিক স্পেশালের পর এবার বন্দে ভারত মিশন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব। কেন কলকাতা অবধি প্লেন চালানো হচ্ছে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টাপাধ্যায়। এর জবাবে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে অনুমতি মিললেই কলকাতায় ট্রেন পাঠানো হবে! কার্যত রাজ্যকেই দায়ী করেছে বিদেশমন্ত্রক।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব টুইটারে বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর জন্য বিমানের ব্যবস্থা করা যেতেই পারে। কিন্তু রাজ্যকে আগে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের কোয়ারেন্টাইন করার ব্যবস্থা আছে।
পার্থবাবু প্রশ্ন করেছিলেন কেন বন্দে ভারতের দ্বিতীয় দফাতেও কলকাতায় কোনও ফ্লাইট আসছে না। ২১দি দেশ থেকে ৩২ হাজার ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হবে দ্বিতীয় দফায়। ১২টি রাজ্যে মোট ১৪৯টি প্লেন চালাবে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ নেই।
পার্থবাবু একে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা বলে দাবি করে বলেন যে জর্জিয়া থেকে গুজরাত যাওয়ার লোক আছে, বিহার থেকে কিরগিস্তান ফিরছে মানুষ কিন্তু এটা বিশ্বাস করতে যে কেউ কলকাতায় ফিরতে চাইছেন না!
সচারচর ঘরোয়া রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করে না বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু এখানে যেহেতু তাদের বিরুদ্ধেই উঠেছে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার অভিযোগ, মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন যে তারা রাজ্যদের মধ্যে ভেদাভেদ করেন না। পশ্চিমবঙ্গ সহ সমস্ত রাজ্যের নাগরিকদের জন্যেই বন্দে ভারত মিশন। রাজ্যের মোট ৩৭০০ মানুষ ফিরে আসার জন্য রেজিস্টার করেছে বলে তিনি জানান।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার নাগরিকদের রিসিভ করে কোয়ারেন্টাইন করার কথা জানালেই রাজ্যে ফ্লাইট পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশেও যে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা আটকে পড়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন বিকাশ। এই টুইটের এখনো কোনও উত্তর আসেনি রাজ্যের তরফ থেকে।
পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক ট্রেন আসার অনুমতি দিচ্ছে না, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব চলছে। অমিত শাহ মমতাকে এই প্রসঙ্গে চিঠি লেখেন। বৃহস্পতিবার পীযূষ গোয়েল বলেন যে মাসে ১০৫টি নয় দিনে ১০৫টি ট্রেন চালানো উচিত। রাজ্যের শ্রমিকদের দায় মমতা এড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদল এসেও রাজ্যের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি নালিশ করেন। বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে নিজের রাগ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।