রবিবার অশোক গেহলট দাবি করেছিলেন যে রাজস্থানে তাঁর সরকার বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং আরও দুই বিজেপি নেতা। কংগ্রেস নেতার এহেন দাবির প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বসুন্ধরা। বিজেপি নেত্রী দাবি করলেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে অশোক গেহলট ষড়যন্ত্র করছেন। বসুন্ধরা বলেন, 'হেরে যাওয়ার ভয় থেকেই মিথ্যা বলছেন অশোক গেহলট।' বসুন্ধরা আরও বলেন, 'অশোক গেহলট আমাকে যতটা অপমান করেছেন, তা আর কেউ করতে পারবে না। নিজের দলেই বিদ্রোহে জেরবার তিনি। তাই তিনি আমার নামে মিথ্যা রটাচ্ছেন।'
এর আগে রবিবার এক অনুষ্ঠানে অশোক গেহলট দাবি করেছিলেন, ২০২০ সালে যখন তাঁর দলের বিধায়কদের একাংশই বিদ্রোহ করেছিলেন তখন বিজেপির তিন নেতা-নেত্রী তাঁর সরকার বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন। প্রসঙ্গত, রাজস্থানের তৎকালীন উপমুখ্য়মন্ত্রী সচিন পাইলট ও আরও ১৮জন কংগ্রেস বিধায়ক ২০২০ সালের জুলাই মাসে আচমকাই গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে দেন। এরপর পার্টির হাই কমান্ড এনিয়ে হস্তক্ষেপ করেন। তাদের হস্তক্ষেপের পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এরপর সচিন পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে গেহলটের সঙ্গে তাঁর তিক্ততা দূর হয়নি। ২০২৩ সালের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই সেই তিক্ততা আরও প্রকট হচ্ছে।
এই আবহে অশোক গেহলট গতকাল বিদ্রোহী বিধায়কদেরও তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, শোভা রানি (বিধায়ক) এবং কৈলাশ মেঘওয়াল (প্রাক্তন স্পিকার) জানতেন যে তাঁদের দলের লোকেরা সরকার পতন করতে চাইছে। বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং কৈলাশ মেঘওয়াল সেই সময় বলেছিলেন যে অর্থের বিনিময়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া আমাদের ঐতিহ্য ছিল না। যাঁরা সরকার পতনের ছক কষেছিলেন, তাঁদের তাঁরা সমর্থন করেননি। যার কারণে আমাদের সরকার টিকে আছে।' এরপর নিজের দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের তিনি বলেন, 'বিজেপির থেকে যে টাকা নিয়েছিলেন তা ফেরত দিয়ে দিন। তাহলে মুক্তমনে কাজ করতে পারবেন।'
অশোক গতকাল অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, ধর্মেন্দ্র প্রধান তাঁর সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন। এই আবহে গেহলট বলেন, 'সরকার ফেলতে অনেক টাকা বিলি করা হয়েছিল। যেসব বিধায়করা সেই টাকা নিয়েছিলেন, তাঁরা সেগুলি ফিরিয়ে দিন। যদি সেই টাকা খরচ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও আমরা সেটা ফেরানোর চেষ্টা করব। হাইকমান্ডকে বলব। যদি বিধায়করা টাকা না ফেরান তবে তাঁরা সবসময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের চাপে থাকবেন।'