পূর্ব ঘোষণা মতোই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৪ তম জন্মদিনে আজমির শরীফে বিশেষ লঙ্গরের আয়োজন করা হয়। প্রায় ৪ হাজার কেজি নিরামিষ খাবার রান্না করে খাওয়ানো হল বহু মানুষকে। এছাড়া, মোদীর দীর্ঘায়ু চেয়ে প্রার্থনা করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টায় দরগায় শাহী দেগে ৪ হাজার কেজি নিরামিষ খাবার রান্না করা হয়। এই প্রথমবারের মতো কোনও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগায় এত বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৪,০০০ kg নিরামিষ খাবার রান্না হবে আজমির শরিফে
চিশতি ফাউন্ডেশনের তরফে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান হাজী সৈয়দ সলমন চিশতি জানান, গত ৫৫০ বছর ধরে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগায় বিশেষ লঙ্গরের আয়োজন হয়ে আসছে। সেখানে রাখা একটি বিশালাকার শাহী দেগে একবারে ৪ হাজার কিলো খাবার রান্না করা যায়। তাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে লঙ্গরের আয়োজন করা হয়। এই খাবার তৈরির সময় কিছু বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছিল। যাতে প্রত্যেক ধর্মের মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নিরামিষ খাবার রান্না করা হয়েছিল।
দরগার খাদেম সৈয়দ আফশান চিশতি বলেন, ‘এই দরগায় দাঁড়িয়ে আমরা দেশের শান্তি ও শান্তি কামনা করি। আমরা প্রার্থনা করি আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দেশে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকুক। আমাদের দেশ সারা বিশ্বের জন্য একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হোক। আমরা প্রার্থনা করি যে ভারত শান্তির দূত হয়ে ওঠে এবং বিশ্বে শান্ত বজায় রাখতে কাজ করুক।’
উল্লেখ্য, আজমির শরীফে এই বড় শাহী দেহ উপহার দিয়েছিলেন মুঘল সম্রাট আকবর। তারপর থেকেই শত শত বছর ধরে এই দেগে নিরামিষ খাবার তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ লঙ্গরের জন্য চাঁদা দিয়ে থাকেন। মঙ্গলবার রাতে লঙ্গরে আয়োজন করা খাবার আশেপাশের এলাকায় পরিবেশন করা হয়। ভারতীয় সংখ্যালঘু এবং চিশতি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই লঙ্গরের আয়োজন করে। ভাত এবং খাঁটি ঘি, শুকনো ফল দিয়ে এই খাবার তৈরি করা হয়।ন্নার প্রক্রিয়া চলাকালীন ভক্ত এবং স্বেচ্ছাসেবকরা প্রার্থনা করতে জড়ো হন। কুরানের আয়াত পাঠ করা ছাড়াও নাত, কাওয়ালি প্রভৃতির আয়োজন করা হয়।