জ্ঞানবাপীর অজুখানায় এক পাথরকে ‘শিবলিঙ্গ’ বলে দাবি করে মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল বারাণসীর ফাস্টট্র্যাক আদালতে। সেই মামলা আদৌ গ্রহণ করা হবে কি না, সেই নিয়ে রায়দান পিছিয়ে দিল আদালত। আজকে সেই মামলার রায় দেওয়ার কথা থাকলেও আধালত জানাল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ নভেন্বর। এর আগে সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) মহেন্দ্র পান্ডে ২৭ অক্টোবর এই বিষয়ে তাঁর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন।
প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ থাকার দাবি করে সেখানে পুজো করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বারাণসী আদালতে। হিন্দু পক্ষের সেই দাবি খারিজ করে পালটা মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে সুপ্রিম নির্দেশে সেই মামলা ফিরে আসে বারাণসী আদালতে। বারাণসী দায়রা আদালতে বিচারক একে বিশ্বেসের একক বেঞ্চ জানিয়ে দেয় যে হিন্দু পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা এগোবে। মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটির আবেদন খারিজ করেন বিচারক। জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। এরই মাঝে সেই পাথরের কার্বন ডেটিংয়ের দাবি উঠেছিল হিন্দু পক্ষের একাংশের তরফে। সেই দাবি অবশ্য খারিজ করে দেওয়া হয় বারাণসী দায়রা আদালতে। তবে কার্বন ডেটিং সংক্রান্ত মামলা এখন উচ্চ আদালতের কোর্টে। এরই মাঝে জ্ঞানবাপী মসজিদে মুসলিদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার দাবিতে মামলা রুজু হয়।
এদিকে মুসলিমদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার দাবিতে দায়ের করা মামলার বিরোধিতায় পালটা মামলা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। তাঁদের দাবি, মসজিদ ওয়াকফ-এর জমিতে দাঁড়িয়ে। তাই এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই আদালতের। এর আগে ‘শিবলিঙ্গ’ এলাকাটিকে সংরক্ষিত করার নির্দেশ দিলেও মুসলিমদের মসজিদে ঢুকে নমাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তরফে।