বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > পেগাসাসের তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন CBI কর্তা, অনিল অম্বানি : রিপোর্ট

সিবিআই-এর প্রাক্তন প্রধান ও ডেপুটির ফোন নম্বর। শিল্পপতি অনিল অম্বানি। দালাই লামার সহযোগী। পেগাসাসের 'টার্গেটের' তালিকায় বাদ যাননি। বৃহস্পতিবার এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই ভয়ানক তথ্য।

দ্য ওয়্যারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তিন ব্যক্তি ছাড়াও তাঁদের ঘনিষ্ঠ-সহ প্রায় ৫০,০০০ ফোন নম্বর ছিল ডেটাবেসে। ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও গ্রুপের পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ক্লায়েন্ট, ছিল বিভিন্ন এজেন্সি। ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য ওয়ার’-সহ ১৭ টি সংবাদমাধ্যমের একটি গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেই ডেটাবেসে প্রাক্তন সিবিআই কর্তার ফোন নম্বর, তাঁর স্ত্রী, কন্যা এবং জামাইয়ের ব্যক্তিগত টেলিফোন নম্বরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁর ডেপুটি রাকেশ আস্থানা এবং তৃতীয় এক সিবিআই আধিকারিক একে শর্মার ফোন নম্বরও এই তালিকায় ছিল।

হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষ থেকে ভার্মা, আস্থানা এবং শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও আপাতত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনিল অম্বানি এবং রিলায়েন্স এডিএ গ্রুপের কর্পোরেট কমিউনিকেশনসের প্রধান টনি জেসুদাশন এবং তাঁর স্ত্রীকেও টার্গেটের হিসাবে তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা বা এয়ারোস্পেসের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিও এই তালিকায় ছিলেন। এঁদের বেশিরভাগই ভারতে দাঁসো অ্যাভিয়েশন-এর প্রতিনিধি ছিলেন। অন্যদিকে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'দলাই লামার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের ফোন নম্বরও রয়েছে ডেটাবেসে।' ভারত সরকারই এক্ষেত্রে এনএসও গ্রুপের সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টে।

পেগাসাস 'হ্যাক'-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। পুরো বিতর্কের সঙ্গে কেন্দ্র বা বিজেপির নাম জড়ানোর জন্য ছিঁটেফোটা প্রমাণও নেই বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।

বন্ধ করুন