রমেশ বাবু
কমিউনিস্ট নেতা ভিএস অচ্যুতানন্দন বৃহস্পতিবার পা দিলেন ১০০ বছরে। বার বারই কেরল সিপিএমে সংস্কারমূলক নানা কাজ করে গিয়েছেন তিনি। সেই প্রবীন সিপিএম নেতা এবার সেঞ্চুরি করলেন।
বছর তিনেক আগেই তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন। মূলত শারীরিক সমস্যার জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, ছেলের বাড়িতেই তিনি জন্মদিন পালন করবেন।
প্রায় সাতদশক ধরে তাঁকে কেন্দ্র করেই কেরলে বাম রাজনীতি আবর্তিত হয়েছে। গত প্রায় দু দশক ধরে তিনি নানা সামাজিক সমস্য়াকে সামনে এনে তা সংস্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। দুর্নীতি, সেক্স চক্র, জমি দখল, গাছ কাটা, আমলাতান্ত্রিকতা সহ নানা বিষয়ে তিনি সংস্কারের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।
একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা যেমন ৯৪ সালে প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী কে করুণাকরনের বিরুদ্ধে পাম তেল আমদানি মামলা, প্রাক্তন মন্ত্রী কে বালাকৃষ্ণা পিল্লাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা, আইসক্রিম পার্লার সেক্স চক্র মামলাতেও তিনি দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েছিলেন। তাঁর এই উৎসাহ দেখে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিখ্যাত আইনজীবী ফি ছাড়াই তাঁর পক্ষ নিয়ে আইনি লড়াই লড়তেন।
২০০৬-২০১১ তিনিই ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে।
রাজনীতিতে নাম্বুরিদিপাদের মতো তথাকথিত তাত্ত্বিকতা ছিল না তাঁর মধ্যে। ইকে নায়ানারের মতো ক্য়ারিশ্মাও ছিল না তাঁর মধ্যে। কিন্তু তাঁদের অনুপস্থিতি যাবতীয় শূন্যস্থান কিন্তু পূরণ করেছিলেন স্কুলছুট অচ্যুতানন্দনই। নানা সামাজিক ইস্যুকে সামনে এনে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ জয়শঙ্কর বলেন, সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর অনুপস্থিতি বর্তমান সময়ে বারবার বোঝা যায়। এতদিন নানা কারণে যারা কোণঠাসা হয়েছিলেন তাঁরা ফের সামনে আসতে শুরু করেছেন।