'পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গানা, কেরলে হাজার হাজার মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়ে থাকে।' এভাবেই নিজের বক্তব্য তুলে ধরে ধর্মান্তরকরণ নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সভাপতি মিলিন্দ পরান্দে। সোমবার অসমের শিলচরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সভাপতি লাভ জেহাদের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে নির্বিচারে গোহত্যা চলছে বলেও অভিযোগের সুর চড়ান তিনি।
শিলচরের এই অনুষ্ঠানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা বলেন, সদ্য ২৪০০ মহিলাকে ফের একবার হিন্দুধর্মে ফেরানো হয়েছে। তাঁর দাবি, এঁরা সকলেই লাভ জেহাদের 'শিকার' হয়েছিলেন। আর তাঁদেরই পুর্নধর্মান্তরকরণ করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে হিন্দু ধর্মে। সোমবারের অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, প্রায় দশ হাজারের বেশি হিন্দু মহিলাকে ইসলাম বা ক্রিস্টানে ধর্মান্তরকরণ করা হয়। তিনি বলেন, 'লাভ জেহাদ' হল একটি ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া, যেখানে হিন্দু মহিলাদের লোভ দেখানো হয় বিভিন্নভাবে আর তার হাত ধরেই তাঁদের ধর্মান্তরকরণ করা হয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গানা, কেরলে হাজার হাজার মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তরকরণ করা হয়। এই মহিলাদের একটা বড় অংশই লাভ জেহাদের শিকার। সবারই এটা জানা, তবে আমরা পদক্ষেপ করেছি। এটা আমাদের দায়িত্ব, যখন আমাদের মেয়েদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে আর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একটা কম সম্মানজনক জীবনের দিকে।'
এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবলহারে চলছে গোহত্যা। তিনি এই সূত্র ধরে বলেন, 'একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিবছর হাজারেরও বেশি গরুকে হত্যা করা হয় বাংলাদেশ সীমান্তে। যদিও সরকার তা আইন করে রোখার চেষ্টা করেছে, তবুও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ এটা করে যাচ্ছেন গোপনে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা বহু গরুকে হত্যার হাত থেকে বাঁচিয়ে যাচ্ছেন।'