কংগ্রেস সাংসদরা এবং গোটা ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার চেষ্টা করছে। এই আবহে এবার সরাসরি কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে গোটা জাতিকে সতর্ক করলেন। জাতীয়তা বিরোধী শক্তি যাঁরা একটি আখ্যান ছড়িয়ে দিতে চাইছে যে, ভারতকে সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে যা আজ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশকে করতে হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। তিনি এখন ভারতে আছেন। তার মধ্যে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। কেমন করে একজন ব্যক্তি, প্রাক্তন সাংসদ, বৈদেশিক কাজ করেছেন, তাঁরা দ্রুত সমান্তরাল লাইন এঁকে দিলেন ভারত এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের মধ্যে! এসব মানুষকে শুধু বিভ্রান্ত করে তাই নয়, এটা দেশাত্মবোধের বিরোধী বলে মনে করেন ধনখড়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। সেখানে জগদীপ ধনখড় উল্লেখ করেছেন, ‘সতর্ক থাকুন! একটা আখ্যান তৈরি করার চেষ্টা চলছে। প্রতিবেশী দেশে যেটা ঘটেছে সেটা ঘটতে পারে আমাদের ভারতেও। এটা সত্যিই উদ্বেগের। কেমন করে একজন দেশের নাগরিক, প্রাক্তন সাংসদ, যিনি বৈদেশিক সম্পর্ক অনেকটা দেখেছেন, এমন কথা বলতে পারেন!’
অন্যদিকে যোধপুরে রাজস্থান হাইকোর্টের প্ল্যাটিনাম জুবলি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানেই শনিবার এই কথাগুলি বলেছেন জগদীপ ধনখড়। সমস্ত জাতীয়তা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। জাতি ও গণতন্ত্রকে এভাবে অনেকে লাইনচ্যুত করতে চাইছেন বলে দাবি তাঁর। কিন্তু কেন এমনটা বললেন? জানা গিয়েছে, গত ৬ অগস্ট কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেছিলেন, সবকিছুই হয়তো একটা পৃষ্ঠে স্বাভাবিক লাগছে। যা ঘটেছে বাংলাদেশে তা ঘটতে পারে ভারতে। এই কথার প্রেক্ষিতেই উপরাষ্ট্রপতির গলায় শোনা গেল উদ্বেগের কথা। তার সঙ্গে কংগ্রেসকেও এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি।
আরও পড়ুন: যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে সপাটে চড় পুলিশের, আলোড়ন বহরমপুরে
এছাড়া ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি নিয়েও সুর চড়িয়েছেন জগদীপ ধনখড়। দেশের স্বাধীনতার পর এই জরুরি অবস্থাকেই সবচেয়ে অন্ধকার সময় বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। উপরাষ্ট্রপতির বক্তব্য, ‘সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, একজন কেউ আদালতে আসেনি তখন নিজের অধিকার চাইতে যতক্ষণ না পর্যন্ত জরুরি অবস্থা শেষ হয়েছে। স্বাধীনতা সেদিন লুণ্ঠিত হয়েছিল একজনের দ্বারা। হাজার হাজার মানুষ সেদিন গ্রেফতার হয়েছিল কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও। শুধু মনে ভারত মাতা এবং জাতীয়তাবাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল।’