মহারাষ্ট্রের ট্রাফিক পুলিশের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োয় ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলকে হুমকি দিচ্ছেন এক দম্পতি। অন্য একটি ভিডিয়োয় অভিযুক্তকে লকআপে কাঁদতে দেখা গিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত রাস্তায় পার্ক করা গাড়িতে হুইল ক্ল্যাম্প লাগানো নিয়ে। থানের মীরা রোডে গাড়ি রেখে ওই দম্পতি অল্প সময়ের জন্য কোথাও গিয়েছিলেন। ফিরে এসে গাড়ির চাকায় কাঁটা লাগানো দেখে স্বামী-স্ত্রী ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশকর্মীকে রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। ভাইরাল ভিডিয়োতে ওই বলতে শোনা যায়, 'খালি একবার ইউনিফর্ম খোল, মাঝখান দিয়ে চিরে দেব'। তিনি প্রশ্ন করেন, গাড়ি রাস্তার ধারে রাখবেন না তো কোথায় রাখবেন?
ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টির ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত অমর সিংকে থানায় নিয়ে আসলে তিনি ঘাবড়ে যান। ক্ষমা চাইতে শুরু করেন। আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে কাঁদতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তকে।
তবে, মহারাষ্ট্রে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে জনসাধারণের ক্ষোভ নতুন নয়। মূল অভিযোগ হল প্রবল ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা। ২০১৭ সালে এ বিষয়ে বম্বে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন ট্রাফিক পুলিশেরই কর্মী সুনীল টোকে। পিটিশনের তিনি দাবি করেছিলেন, বিভিন্ন মল, দোকান, অফিস, গাড়ির শো-রুমের সামনে রাস্তায় দেদার পার্কিং করতে দেন ট্রাফিক পুলিশরা। সেখানে কাঁটা লাগানো হয় না। এর বিনিময়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা 'হপ্তা' নেন তাঁর ডিপার্টমেন্টেরই সহকর্মীরা।
শুধু তাই নয়, তিনি জানান মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে কেউ ধরা পড়লেও ঘুষ নেওয়া হয়। অভিযুক্ত ধনী হলে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাঁরা টাকা দিতে পারেন না, শুধুমাত্র তাঁদেরই কেস দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার বহু ট্রাফিক পুলিশকর্মীর বদলিও করা হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে দাবি।